নানা নাটকীয়তা চলছে ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন উদ্ধারের ঘটনায় ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. কাউছার আহমেদ কে গ্রফতারের ঘটনার পর সর্বত্র চলছে তোলপাড় সমালোচনা। মূল ঘটনা আর এই অপরাধের গডফাদারের যাতে মুখোষ উম্মোচন না হয় সে লক্ষ্যে সকল ধরণের তদ্বির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী চক্র। কোন অবস্থাতেই যেন সেই পাগলা মেরী এন্ডারসনের মদ কেলেংকারীর হোতা টিটুর মতো এবার রানা কেও আড়ালে রাখা যায় সে লক্ষ্যেও সকল ধরণের জোড়ালো তদ্বির চললে পর্দার অন্তরালে।
কার্টুন ভর্তি ঘুষের ৪২ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিশাল এই ঘৃন্য কর্মকান্ডের মূল হোতা রানার মুখোষ উম্মোচন যাতে না হয় সে জন্য প্রভাবশালী একটি চিহ্নিত চক্র খোদ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক কে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিতারিত করতে সকল ধরণের জোড়ালো অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে । এরই মধ্যে দূদকের দূর্ণীতি পরায়ন কোন কোন কর্মকর্তার মাধমে কার্টুন ভর্তি ঘুষের ৪২ লাখ টাকার মামলা ধামাচাপা দিতেও তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। একই সাথে নারায়ণগঞ্জের গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা কে এই ধটনা যাতে তেমন কোন প্রভাব না পরে সে জন্যও চারিদিক দিয়ে কঠোর মনিটরিং চলছে।
এমন অসংখ্য তদ্বির জোড়ালো লবিংয়ের পর এবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. কাউছার আহমেদকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন রিমান্ডের আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে কোর্ট ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি কাউছারের ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে জেলা ও দায়ারা জজ ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইন ও মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মো. কাউছার আহমেদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাউছার আহমেদকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ৪২ লাখ টাকার কার্টুন বহনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়।









Discussion about this post