শামীম ওসমানের সাথে দূরত্ব নাই বলে মন্তব্য করেছন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।
ডিসি বলেন, না, না। তার সাথে আমার কোনো দূরত্ব নেই।
ডিসি আরো বলেন, ‘তিনি (শামীম ওসমান) আমাকে অনুষ্ঠানের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। আমি সরকারি কাজে ব্যস্ত ছিলাম, আর এটা তো আসলে অফিসিয়াল কোনো অনুষ্ঠানও ছিল না। এ বিষয়ে আসলে তেমন কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
২৭ জানুয়ারী শনিবার বিকেলে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জের এক সভায় শামীম ওসমানের আমন্ত্রণে সাড়া দেননি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন শামীম ওসমান। প্রকাশ্যে সমাবেশে ক্ষুব্ধ অবস্থায় শামীম ওসমান বলেছেন, ‘রাজনৈতিক জীবনের ৪৫ বছরে কখনও এত বিব্রত হননি বলেও মন্তব্য করেন এ নেতা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কে সাবধান করে শামীম ওসমান হুংকার দিয়ে আরো বলেন, ‘আমার সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কম। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমি শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবো, জনগণের সেবক হিসেবে যারা জনগণের চাকরি করতে এ নারায়ণগঞ্জে এসেছেন, আজকে তারা অনুপস্থিত কেন আমি জিজ্ঞাসা করব। আমি মাথা নোয়াবার মানুষ না। এমন কোনো কাজ করি না, আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করব। আমি কথা বলতে চাই নাই। অনেকেই অনেক কিছু করেন, আমরা দেখি। নারায়ণগঞ্জের টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়িতে, আর কেইস দেখান ফতুল্লাতে। আমাদের কাছে অনেক খবর আসে। এ কথাগুলো আজকে বলার কথা না। এখানে যারা এসেছেন তারা সবাই হতাশ হয়ে গেছেন। কেউ হতাশ হবেন না। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করবো।’
এমন ঘটনা পর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক গণমাধ্যম কে উল্লেখিত মন্তব্য করে বলেন, ‘এর বেশি আর কিছু বলতে চাইছি না ।’
শামীম ওসমানের হুঁশিয়ারীর বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ব্যপকভাবে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।









Discussion about this post