প্রতিদিন কোন না কোনভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের বন্দি আসামী/ কয়েদীদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে কারা দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা নানা পন্থায় আদায় করছে নগদ অর্থ । এমন চিত্র দেখে দেখে অভ্যস্থ জালাল হোসেন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধরা পরে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে । ফতুল্লা থানার এক কর্মকর্তা বলেন, জালাল এমন সাহস পেলো কোথায় ? নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে কি হচ্ছে তার খোজ কে রাখে ? কোটি কোটি টাকার লুটপাট ও বিকাশের মাধ্যমে কারাগারের অনেক কর্মসচারী কর্মকর্তা টাকা আদায় করছে আসামীদের স্বজনদের কাছ থেকে । হাজারো এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে কারাগারের গেইটে ভূক্তভোগিদের সাথে আলোচনা করলেই ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জে জেলা কারাগারে বন্দি থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে কারা পুলিশের সহায়তায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জালাল হোসেন নামে উক্ত প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, থানার প্রতারণার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন আইনজীবীদেরকেও এরকম পরিচয় দিয়ে তাদের মক্কেলদের বিভিন্ন সমস্যায় কথা তুলে ধরা টাকা দাবি করা হয় এরকম নাম্বার থেকে। এ নিয়ে অসংখ্য সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির এমন অসংখ্য অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গেলেই জেলা প্রশাসন ও কারা প্রশাসন সকল সময়ই নিজেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে কোন উত্তনর না দিয়ে উল্টো নানাভাবে আপত্তিকর মন্তব্য করতেও দ্বিাবোধ করেন নাই কারা সুপার সুভাষ ঘোষ ।
অথচ আটককৃত প্রতারকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে ডেকে নিয়ে নিজেদের সাফাই প্রচার করতে নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, জেল সুপার, জেলার, সুবেদার পরিচয়ে জালাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ বিকাশের মাধ্যমে কারাগারে বন্দিদের আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোবাইলে ফোন করে বলে আপনার কারাগারে আটক বন্দী অসুস্থ হয়েছে, অপারেশন করা লাগবে এবং জেলখানায় ডান্ডাবেড়ী পড়ানো হচ্ছে এই বলে টাকা দাবি করে সে। আসামির দ্বারা যারা ভিকটিম হয়েছে তারা তাকে চিহ্নিত করলে পরবর্তীতে তাকে আটক করা হয়।
Discussion about this post