বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে আজ ৫ জুন বুধবার সকালে রাজধানী ঢাকার অবস্থান নবম। আর নারায়ণগঞ্জের অবস্তান অত্যান্ত মারাত্মক।
আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকার স্কোর ১১৮। বাতাসের এই মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
এমন অবস্থায় আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আলোচনা সভায় পরিবেশ নিয়ে নানা আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি শিল্প – কল – কারকানা – মিল -ফ্যাক্টরী, দোকানসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চাঁদাবাজি বন্দ করে পরিবেশের উন্নয়ন কল্পে কোন আলোচনা উঠে আসে নাই আলোচনায় । সকলেই যেন শো-ডাউন আর রঙিন নতুন জামা কাপড় পরে নিজেদের দেখতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে । এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জের পরিবেশর উন্নতি না ঘটলেও কর্তাদের উন্নতি (পোষাক পরিচ্ছদে চাকচিক্য) বেশ লক্ষ্যনীয় তা সহজেই বোঝা যায়।”
সভায় বক্তারা বিশ্বজুড়ে ভারসাম্য হারানো ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে’ জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হলেও চরম দূর্ণীতি ঘিরে কোন আলোচনা করেন নাই কোন বক্তা।
আজকের প্রতিপাদ্যকে ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ সামনে রেখে ৫ জুন বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৭ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের শিল্পবর্জ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্যে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদী দূষিত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ইটিপি শতভাগ চালু রয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে কমিটি করে দিয়েছি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। আমরা পরিবেশ রক্ষায় দু’টি পদ্ধতিতে কাজ করছি। একটি হচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ও অপরটি হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পদ্ধতিতে শীতলক্ষ্যা নদীকে শিল্পবর্জ্যের দূষণের কবল থেকে রক্ষা করতে কাজ করছি।
র্যালী ও আলোচনা সভাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বী। সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহম্মদ হাফিজুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মোজাহীদ, জেলা রোভার স্কাউটসের আরিফ মিহির, প্রভাতী সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রদীপ দাস প্রমুখ।









Discussion about this post