২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে রোহিঙ্গা পাসপোর্ট তৈরির আস্তানায় র্যাবের হানা, ধৃত ৬ !
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জে ৮৮টি পাসপোর্টসহ ৪ দালাল আটক করা হয় ।
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর উদ্বোধনের মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও কানাডার নাগরিকত্বপ্রাপ্ত এক প্রবাসী ব্যক্তিকে মারধরসহ শারীরিক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। নতুন পাসপোর্ট অফিসে পুরানো বদ অভ্যাস ! ভাংচুর, গ্রেফতার করায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে ।
২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর এবার নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী দুদকের নজরে আসলে পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার মোফাজ্জল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ।
২০২১ সালের ৩ মার্চ রোহিঙ্গা নারীর পাসপোর্ট তৈরীর চেষ্টাকালে গ্রেফতার ২
২০২১ সালের ৬ আগষ্ট পাসপোর্ট দালাল আটক, রাবার স্ট্যাম্প ও হুন্ডি চক্র সক্রিয় ! আটক ১
২০২২ সালের ২১ অক্টোবর পাসপোর্টের ১৬ দালাল গ্রেফতার
২০২৩ সালের ১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্টের ১৪ দালাল গ্রেফতার
২০২৪ সালের ২৪ জুন পাসপোর্টের কর্মচারী স্ত্রীসহ দুদকের জালে, পৃথক মামলা
২০২৪ সালের ১ জুলাই সোমবার নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দিয়ে উল্টো হামলা চালায় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসানের বাহিনী । এরপর এই পাসপোর্ট কার্যালয়ে কোন ধরণের দূর্ণীতি হয় না । একই সাথে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের রোহিঙ্গা পাসপোর্ট করা হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটে নাই। তাছাড়া আমরা দালালমুক্ত পাসপোর্ট সার্ভিস দিতে সার্বাক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জোড় দাবী করে এই দপ্তরের কর্তা মাহমুদুল হাসান ।
এতো অপকর্মের পরও সংশোধন না হওয়ায় আবারো চাঞ্চল্যকর প্রশ্নফাঁসের সাথে নাম জড়িয়ে যায় পাসপোর্ট অফিসের সাহাদত নামের এক কর্মচরাী।
২০২৪ সালের ৯ জুলাই প্রশ্নফাঁসের সাথে সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ পেয়ে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী শাহাদত গ্রেফতার হলে চুপসে যায় নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসান, উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা ও উপ-সহকারী পরিচালক সুসান্ত সরকার ।
সারাদেশে তোলপাড়করা চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সামান্য কর্মচারী শাহাদত হোসেন যিনি বেতন পান ১২ হাজার টাকা। এই বেতনের চাকরি করে ঢাকার মিরপুরে করেছেন বাড়ি। এছাড়া, নিজ গ্রামে তিন বিঘা ফলের বাগান, পাঁচ বিঘা জমি এবং সিংড়া উপশহরে ও সর্দার পাড়ায় কিনেছেন আট শতাংশ জমি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা ।
এমন খবরে তোলপাড়ের পর শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট কার্যালয় ঘিরে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের সাথে শাহাদাত যেমন জড়িত তেমনি এই চক্রের সাথে কোন না কোন পন্থায় মাহমুদুল হাসান, রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা ও সুসান্ত সরকার জড়িত থাকতে পারে । ফঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে হয়তো এই কর্তারা চাকরী নিতে পারেন অথবা গ্রেফতার হওয়া শাহাদতের সাথে তাদের গভীর সখ্যতা থাকতে পারে । যা জরুরী ভিত্তিতে ঝাচাই করা এখনই সময় বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।
পাসপোর্ট কর্তাদের দূর্ণীতির বিষয়ে খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে কয়েকজন কর্মকর্তা ।
অফিস শেষে মিটিং এর নামে চার তলায় ঘুষের টাকা ভাগাভাগি হয়। টাকা ভাগাভাগির শেষে পলিথিনের ভিতর টাকা নিয়ে মোটর সাইকেল দিয়ে চলে যায় বাসায়। এ যেন দেখার কেউ নেই।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির মূল হোতা মাহমুদুল হাসান, রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা ও সুসান্ত সরকার, মোঃ কামাল, আনসার কমান্ডার বকুল, ১০১ নম্বর রুমের কামাল সে নাকি এখন মিডিয়া লোকদের ম্যানেজ করে থাকে ।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ঘুষ ছাড়া মেলে না সেবা এ যেন গণেশের কেরামতির খেলা। ছবি তোলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয়। প্রতি পাসপোর্ট এর জন্য ৩০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে ঘুস-দুর্নীতির যেন শেষ নেই। দুর্নীতি রোধে মাঝে মাঝে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও কিছুদিন পর দেখা যায় সবকিছু আগের মতোই চলছে । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেকদিকে খুলে যায় দুর্নীতির নতুন পথ।
বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
এ অফিসে অলিখিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে প্রকাশ্যে চলে ঘুসের কারবার।
আর এসব ঘুষের টাকার নিয়ন্ত্রণে ছিল আনসার কমান্ডার বকুল এই বকুলের বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয় তারপরে বকুলকে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানাই নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা। কিন্তু আসলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে আছে অফিসে ডিউটি করে লুকিয়ে লুকিয়ে। এ বিষয়ে বকুলের সাথে ফোনে কথা বলে তিনি বলেন, ‘আমি তো গাজীপুর আছি । বর্তমানে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোঃ কামাল নামে একজনকে তিনি এখন ঘুষের টাকা দেওয়া নেওয়ার দায়িত্ব পালন করে ।‘
গোপন সূত্রে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে ৪০০ এর অধিক সাংবাদিকদের কে বিকাশের মাধ্যমে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যদি ৪০০ এর হিসাব করা হয় তাতে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় চার লক্ষ, বিকাশের মাধ্যমে যে এই চার লক্ষ টাকা দিল এই টাকা কোথা থেকে আসলো। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলার মত এবং কিছু কিছু নাম্বার আছে ২০০০. টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যেই নাম্বার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারটি হল। ( 01325661626 ) যা পরবর্তী নিউজ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করার জন্য অফিসে আসলে মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর কাছে তেমন কোন সেবা পাওয়া যায় না বলেই চলে। তিনি পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এই খারাপ আচরণ করার মানে হল যাতে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর সেবা নিতে পারে। আর এই সেবা নিতে হলে লাগবে টাকা, টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যাবে না নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে, গত ১৪/০৩/ ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১.১৫ মিনিটের সময় হালিম সরকার নামে একজন বয়স্ক লোক পাসপোর্ট করার জন্য হাতে সব কাগজপত্র নিয়ে উপ – সহকারী রুমে ঢুকে মোঃ রুকুনুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলে এখন হবে না পরে আসেন সেবা না দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়।
ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আরো একজন আসে তাকেও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বের করে দেয়। পাসপোর্ট অফিসের গেটের সামনে ভুক্তভোগী হালিম সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি আবেগমন হয়ে বলেন কোন দেশে বাস করছি আমরা এটাই কি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। এভাবে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের অভিযোগ আছে যা লিখে কখনো শেষ করা যাবেনা। শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ এসব কিছু নিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস। একটা বিষয় ক্লিয়ার যে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চলছে ঘুষের স্বর্গরাজ্য ।
ভুলে গেলে চলবে না, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ বাস্তবতা হলো, দেশে ঘুস ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না বললেই চলে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাগামহীন দুর্নীতি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করছে এবং এর ফলে প্রান্তিক ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা দেখছি, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার পরও প্রবাসী শ্রমিকরা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে নানাভাবে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অথচ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিবাজদের কারণে একশ্রেণির মানুষ ঘুস দিয়ে অবৈধভাবে সেবা নিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পাসপোর্ট পেতে পারে, সে জন্য প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা এবং নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন।









Discussion about this post