রূপগঞ্জে পিকনিকের ট্রলারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রাজীব হোসেন (৩১) নামে এক যুবক মারা গেছেন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর নদীতে ফেলা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে। হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার তারৈল এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ইছাপুরা নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে তারৈল এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে পিকনিকের ট্রলারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
নিহত রাজীব হোসেন গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার বরকাও এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে।
নিহত রাজীব হোসেনের ভাই আরিফ হোসেন অভিযোগ করে জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে কালীগঞ্জের বরকাউ এলাকা থেকে তার ভাই রাজীবসহ প্রায় ৩০ জনের বন্ধু মহল পূর্বাচলের দিকে ঘুরতে আসেন। পরে তারৈল এলাকা থেকে একটি পিকনিকের ট্রলার ভাড়া করেন তারা। রাত ৯টার দিকে তারৈল এলাকার ২০ থেকে ২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লুটপাট চালাতে পিকনিক ট্রলারে হামলা চালায়। ট্রলারে থাকা পিকনিকের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে হামলাকারীদের সঙ্গে পিকনিক যাত্রীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাদল মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, রাব্বী মিয়া, আলামিন, রেজাউল, শ্যামল মিয়াসহ অন্তত ১০ জন পিকনিক যাত্রী আহত হন। এ সময় রাজীব হোসেনকে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেয়। পরে সোমবার দিনব্যাপী নিহতের স্বজন ও ডুবুরি দল নদীতে খোঁজাখুঁজির পরও রাজীব হোসেনের লাশ খুঁজে পায়নি। পরে খুঁজে না পেয়ে তাদের বোন মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মাহমুদা আক্তার জানান, পর দিন আমরা হামলার ঘটনা জানতে পারি। হামলার ঘটনা জানতে পেরে নদীতে খোঁজাখুঁজি করে ভাইয়ের লাশ না পেয়ে রূপগঞ্জ থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
ইছাপুরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারৈল এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে নিহত রাজীবের হোসেনের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজীব হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চলছে।









Discussion about this post