নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
গৃহবধূকে অচেতন করে ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারকুত নৌ পুলিশের একজন কনস্টেবল সাব্বির আহম্মেদ মেহেদীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত ।
নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের দারোগা কামরুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানোর পর মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাব্বির আহম্মেদ মেহেদী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মালিগাঁও গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার পদ্মকুড়ি স্কুল সংলগ্ন মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার সাব্বির আহম্মেদ মেহেদীর বিরুদ্ধে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করলে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে ২৬ আগস্ট সাব্বির আহম্মেদ মেহেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ এনে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই সন্তানের জননী। মামলা দায়েরের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযুক্ত সাব্বির আহম্মেদ মেহেদীকে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগি গৃহবধূর দাবি, তার সন্তান ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে পড়েন। ওই স্কুলে যাতায়াতের সময় সাব্বির আহম্মেদ মেহেদী সাথে তার পরিচয় হয়। পরে ফোনে কথাবার্তাও হয়। এর এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৭ আগস্ট সাব্বির তাকে ফোন করে কথা আছে বলে জানান। পরে ওই নারী সাব্বিরকে জানান, তিনি চাষাড়ায় আছেন। কথা থাকলে এখানে আসতে বলেন। পরে সাব্বির উত্তর চাষাড়ায় ওই নারীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে একটি কোমল পানীয়র বোতল নিয়ে আসেন।
ওই নারীর দাবি, ওই বোতলের মধ্যে আগের থেকেই নেশাজাতদ্রব্য মিশিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিলো। যা পান করানোর পর সে অচেতন হয়ে যায় এবং তাকে সাব্বির ধর্ষণ করেন ও অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করেন। পরে এসব অশ্লীল দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করেন সাব্বির। এরমধ্যে একবার ২ লাখ টাকা এবং আরেকবার ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করেন। এতেও সে নিস্তার পাচ্ছিলো না। পরে বাধ্য হয়ে তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কেরন।









Discussion about this post