তবে কি শামীম ওসমানকে ধরে নিয়েছিলো ডিবি প্রধান হারুন ? এমনন প্রশ্ন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে উচ্চাারিত হচ্ছে।
অনেকেই বলেছেন, “তবে কি তখন শামীম ওসমানকে আটক করেছিলেন ডিবি প্রধান ? নাকি মশকরা করেছিলেন খাবার টেবিলে ? নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সাথে ছিলো মারাত্মক দা কুমড়া সম্পর্ক। ‘চাড়া উড়িয়ে দেব‘ এমন মন্তব্য ছাড়াও নানাভাবে নেতিবাচক মন্তব্যও সভা সমাবেশ করে এসপি হারুনের বিষেধাগার করতেন এমপি শামীম।
প্রত্যুত্তর এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে হারুন দেখাতেন প্রশাসনিক কর্মকান্ড।
পুলিশ সুপার হিসেবে হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর যোগদান করেই সন্ত্রাসী, চাদাবাজি, মাদক ব্যবসায়ী, ফুটপাত উচ্ছেদ, প্রভাবশালী জুয়ারী চক্রের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া, ভুমিদস্যুসহ সকল ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ১ এপ্রিল এসপি হারুনের নির্দেশে অভিযান চালানো হয় ফতুল্লার পাগলা এলাকায় অবস্থিত ভাসমান রেস্তোরাঁ মেরিন এন্ডারসনে। ওই সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় অর্ধশতাধিক লোককে। এ ঘটনায় মামলাও করা হয়। মামলায় এমপি শামীম ওসমানের শ্যালককে আসামি করা হয়। (সূত্র জাগো নিউজ ) এরপর টনক নড়বড়ে হয়ে উঠে ওসমান পরিবারের।
এমন অসংখ্য ঘটনার পর ১১ মাস নারায়ণগঞ্জে চাকরীকালীন সময়ে অভিযোগ উঠে এসপি হারুন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের ছেলে ও আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলের কাছে ৮ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এরপর বদলী হন এসপি হারুন। কান্না জুড়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলী হলে প্রতিপক্ষরা মিস্টি বিতরণ করে তৎকালীন সময়ে।

এমন টানা পোড়েনের পর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে এসে সংস্থাটির প্রধান হারুন অর রশীদের সাথে দুপুরের খাবার খান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। যে ছবি প্রকাশ পায় প্রায় সকল গণমাধ্যমে। পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের দপ্তরে এমন খাবারের অসংখ্য ছবি প্রকাশের পর এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে আজ ২৯ জুলাই খাবারের ছবি প্রকাশের পর উচ্চ আদালত যে মন্তব্য করেছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা । তবে কি তখন নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানকে আটক করেছিলেন ?
আজ (২৯ জুলাই) সোমবার এক শুনানিতে এ মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয়জন সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ (২৯ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে ওই রিটের ওপর শুনানি শুরু হয়।
শুনানির এক পর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘টিভিতে দেখেছি, এই ছয়জন (সমন্বয়ক) কাঁটাচামচ দিয়ে খাচ্ছে।’
এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে ? কেন করলেন এগুলো ? জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতেও নির্দেশনা চেয়ে আজ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাঁরা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সারা হোসেন এবং আইনজীবী অনীক আর হক শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ শুনানিতে অংশ নেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। শুনানি নিয়ে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার পরবর্তী দিন রেখেছেন।









Discussion about this post