আটক হওয়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের ওই কর্মচারী এক কিশোর, তাই সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী তার নাম দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত অপর এক কর্মচারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ওই কর্মচারীও একজন কিশোর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের দানবাক্সের টাকা চুরি করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে আশ্রমেরই দুই কর্মচারী। আশ্রমের ছাত্রাবাসের ছাত্ররা টের পেয়ে ধাওয়া দিলে ওই দুই কর্মচারী আত্মগোপন করে।
পরবর্তীতে শনিবার সকাল ৬টার দিকে আশ্রমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এক কর্মচারীকে টাকাসহ আটক করে।
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম এলাকার এক বাড়ির মালিক শফিউদ্দিন গণমাদ্যমকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি আশ্রমের মহারাজকে গলাচেপে হত্যার চেষ্টা করেছে তাঁর দুই কর্মচারী। সেখানে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।’
রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ একনাথনন্দ সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের আশ্রমের দুই কর্মচারী প্রণামী বাক্সের (দানবাক্সের) টাকা চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। এর মধ্যে এক কর্মচারীকে টাকাসহ আটক করেছে এলাকার লোকজন।
আশ্রমের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ আছে কি না জানতে চাইলে মহারাজ একনাথনন্দ বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়নি।
এমন ঘটনায় সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শন করেন ।









Discussion about this post