সরকার বদলের পর এবার গণপিটুনীর শিকার হয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মেধাবী ছাত্র তানভীর ত্বকী অপহরণ ও হত্যা, যুবলীগ নেতা পারভেজ গুম ও হত্যা, চাষাঢ়ায় ১৬ জুনের বোমা হামলা, মাকসুদ হত্যা, বাসস্ট্যান্ডের ভাগ বাটোয়ারা, গরুর হাটের বিশাল অর্থ লেনদেনে ওসমান পরিবার জড়িত এমন তথ্য সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । যা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে পুরো নগরী জুড়ে।
শনিবার (১০ আগষ্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যাক্তিকে দেখা যায় জুয়েলকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তবে তারা কারা সে ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভিডিও তে জুয়েলকে বলতে দেখা যায়, পারভেজের গুম আমাদের দলের থেকেই হয়েছে। এখানে শামীম ওসমানের নাম এসেছে। পারভেজের হত্যা শামীম ওসমান করিয়েছে এমনটা চাউর রয়েছে আমাদের মাঝে।
তিনি আরও বলেন, গরুর হাটের টাকা অয়ন ওসমান নিতো, আজমীর নিত। আমরা তাদের কাজগুলো করে দিতাম। ওরা তো অত বড় মানুষের কাছে যেতে পারত না। আমাদের দিয়ে এটা পরিচালনা করত।
তিনি বলেন, মাকসুদকে ঢাকা মারা হয়েছে । এটা র্যাব করেছে। তবে কে হত্যার পেছনে এটা জানি না। তবে বোমা হামলার ঘটনায় আমাদের নাম আছে। এখানে আমাদের চাষাঢ়ার মানুষের নাম আছে।
প্রশ্নের জবাবে জুয়েল জানায়, শামীম ওসমানের টাকা পয়সা কোথায় এটা তো আর আমরা জানি না। তিনি কোথায় টাকা পাঠিয়েছে তা এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। আমি তো তার অত কাছেও ছিলাম না। আমরা গুলি করিনি। হয়ত আমার মত দেখতে কেউ। মহানগর ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট মেহেদীও দেখতে আমার মত। হয়ত ওকে দেখে আমাকে ভেবেছে।
তিনি বলেন, আর জীবনে রাজনীতি করবো না। আজকের পর দল ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে যাব। ত্বকী হত্যার সাথে আমাদের চাষাঢ়ার লোকজনের জড়িত আছে।
ত্বকী হত্যায় মাস্টারপ্ল্যান শাহ্ নিজাম। রাব্বি সাহেবের সাথে তার দ্বন্দ ছিল। শামীম ওসমানকে রাব্বি সাহেব গালি দিয়েছিল, এ নিয়ে শাহ্ নিজাম আমলাপাড়ায় তাকে পিস্তল ঠেকিয়েছিল। সেই থেকেই ত্বকী অপহরনের ঘটনা ঘটায় ।









Discussion about this post