শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ক্ষোভের আগুনে পুড়ে অংগার হওয়া রাইফেল ক্লাবে আগুন দেয়ার পাশাপাশি লুটপাটের মহোৎসব চালায় বিক্ষুব্ধরা।
প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে নগরবাসীর কাছে পরিচিত চাষাড়ায় অবস্থিত রাইফেল ক্লাবে থাকা চায়ের কাপ থেকে শুরু করে দরজা জানালা লুট করে অপরাধীরা ।
সেই সময় অথবা এর পূর্বে রাইফেল ক্লাবের সুরক্ষিত অস্ত্রাগার থেকে সকল অস্ত্র লোপাট করে অজ্ঞাত অপরাধী চক্র ।
রাইফেল ক্লাবের অস্ত্র নিয়ে রাজাকার পুত্র কাজল নিনেই অস্ত্রাগার খালী করেছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে । একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পুত্রের গুলি করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযোগ উঠে ওই অস্ত্র ছিলো রাইফেল ক্লাবের।
এমন অসংখ্য অভিযোগের পর রাইফেল ক্লাবের লুট হওয়া চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট এলাকার পাবলিক টয়লেটের সামনে থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় নগরজুড়ে।
এর আগে সেখানে অজ্ঞাত লোকজন দুটি বস্তা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে সংশ্লিষ্টদের খবর দেন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের শুটিং বিভাগের কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে এসে অস্ত্রগুলো রাইফেল ক্লাবের বলে নিশ্চিত করেন। লুট করা ৪টি অস্ত্র শুটিংয়ের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়ে বলে জানান তিনি।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে র্যাব ১১-এর একটা টিম এসে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা সাংবাদিকদের বলেন, চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের অস্ত্র। এগুলো আপাতত আমাদের হেফাজতে থাকবে। সেই সঙ্গে রাইফেল ক্লাব কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে প্রমাণ দিলে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে হস্তান্তর করা হবে।









Discussion about this post