সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির একটি সূত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে।
জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর থেকে ক্ষমতার প্রভাবে নানা অপরাধ জড়িয়ে পরেন বলে জোড় অভিযোগ থাকলেও জোড়ালো তদ্বিরে জিয়াউল আহসান সেই অসংখ্য অভিযোগ থেকে রক্ষা পেয়ে যান । এক সাথে নারায়ণগঞ্জের লোমহর্ষখ ও চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মূল মাস্টারমাইন্ডার হিসেবেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওই সাত খুনের প্রধান আসামী ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কনেডম সেলে বন্দি কর্নেল তারেক সাঈদ। সাত খুনের পর কর্নেল তারেক সাঈদ গ্রেফতার হলে রিমান্ডে থাকাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন মন্ডল ও তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার,পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাত খুনের আসামীদের প্রায় সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে এনে বিচাারের জন্য চূড়ান্ত রূপ দিলেও ওই মামলায় ব্যাপক সমালোচিত জিয়াউল আহসান তৎকালীন সময়ে রক্ষা পেয়ে যান । এবার ভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হলেও সাত খুনের বিষয়ে জিয়াউল আহসানের ভূমিকা উদঘাটনের দাবী করেছে সাত খুনের শিকার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও চন্দন সরকারের পরিবারের সদস্যরা।









Discussion about this post