নারায়ণগঞ্জ জেলার এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগ ছাড়াএ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সকল লেনদেনের হিসাব রাখতে ও অর্থনৈতিক লেনদেন ঠিক রাখতে একেকজন ক্যাশিয়ার থাকতো গডফাদারখ্যাত শামীম ওসমানের।
প্রতিটি কাজের অর্থ বরাদ্ধের পূর্বেই শামীম ওসমানের জন্য ১০ শতাংশ কমিশন রেখেই ঠিকাদারকে কাজ নিতে হতো। যা ছিলো ওপেন সিক্রেট।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি রেজাউল করিম রানা শামীম ওসমানের ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। চন্দনশীল চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় একই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে রেজাউল করিম রানা অসংখ্য অপরাধ করেও ধরা ছোয়ার বাইরে।
একই সাথে ওসমান পরিবারের নাম ব্যবহার করে জেলা পরিষদের কর্মরত স্টাফদের প্রতি অনেক নিরব অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে প্রকাশ্যেই ।
রেজাউল করিম রানার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেন না । এমন কান্ডের সিদ্ধহস্ত রেজাউল করিম রানা শামীম ওসমানের দোহাই দিয়ে নারয়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাটও করেছে ।
জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেয়ার দায়ে মুন্সিগঞ্জ কারাগারে তিনি জেল খেটেছেন । পরবর্তীতে শামীম ওসমানের তদবিরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে আসেন ।
স্থানীয় সরকারের আইনকে অমান্য করে শামীম ওসমানের অনৈতিক দাপটে পুনরায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে পূর্ণবহাল রয়েছেন রেজাউল করিম রানা ।
এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৭৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন রেজাউল করিম রানা । মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায় এখন পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে রানা । এমন অপরাধী এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে।
বকেয়া ৫০ লক্ষ টাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত এই লুটেরা রানার কাছ থেকে পাওনা আছেন ।স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ সেকশন অফিসারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন । একজন সরকারি কর্মচারী অপরাধের দায়ে জেল খেটে বের হয়ে আসলে প্রথমত আত্মসাৎ করা টাকা তাকে আগে পরিশোধ করতে হবে ।
তার পরে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিবে । পুনরায় তাকে সেই জেলায় পূর্ণ বহাল করার কোন নিয়ম নাই । তবুও তিনি বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হয়েও দাপটের সহিত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে কর্মরত আছেন ।এই রেজাউল করিম রানা এখানেই থেমেছিল না, বৈষম বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনেকে রুখে দিতে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগকে অনেক অর্থায়ন করেছেন ।
এই মুখোশধারী রেজাউল করিম রানা, তিনি দালালিতে এত পটু, যে তার নিজের স্বার্থে, যে কোন মানুষের সাথে মুহূর্তে মিশে যেতে পারেন ।
এই মহাধূর্ত রেজাউল করিম রানা কোন আইনে এখনো চাকরী করছেন এমন প্রশ্ন অনেকের।









Discussion about this post