ফতুল্লায় বকেয়া বেতনের দাবিতে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা হামিদ সোয়েটার লিমিটেডের শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাঁরা কারখানা থেকে বেরিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তাঁরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পোস্ট অফিস রোড এলাকায় অবস্থিত হামিদ সোয়েটার লিমিটেড পোশাক কারখানায় প্রায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা দুই মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার দাবিতে আজ সকালে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তাঁরা সকাল সোয়া ১০টার দিকে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তাঁরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
পোশাক শ্রমিকেরা আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, দুই মাস ধরে (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) তাঁদের বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে না। আজ বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ বেতন পরিশোধ করা হবে না। এতে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করে রাস্তায় নেমে আসেন।
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও হামিদ সোয়েটার লিমিটেডের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান মাহমুদ প্রথম আলোকে জানান, বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তাঁরা বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি পেশ করেন। তাঁরা আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ২৬ সেপ্টেম্বর শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তাঁরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন এবং বাড়ি ফিরে যান।
আদমজীতে অবস্থিত শিল্প পুলিশ-৪-এর পরিদর্শক (গোয়েন্দা) বাদশা সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন, ওই পোশাক কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের আগস্টের বকেয়া বেতন ও সেপ্টেম্বরের অর্ধেকের বেশি বেতন পরিশোধ করেনি। এ কারণে ওই কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় সেখানে মালিকপক্ষের কেউ ছিলেন না।









Discussion about this post