ফতুল্লার কুতুব আইলে আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার -সুমনের বাড়ী এখন হাসিনা সরকারের ক্যাডারদের নিরাপদ আশ্রয় স্থলে পরিনত হয়েছে।
তথ্য মতে, ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে অভিযানে নামে সেনা বাহিনী। একই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয় দেশের প্রতিটি থানায়। এতে করে আত্নগোপনে চলে যায় আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।
ফতুল্লায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
ফতুল্লাসহ আশপাশ থানা এলাকা এমন কি রাজধানী ঢাকার ও বেশ কিছু হত্যা মামলার আসামীরা ফতুল্লার কুতুবআইলস্থ আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার -সুমনের নিজ এবং বাংলো বাড়ীতে অবস্থান করছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মত, আক্তার-সুমনদের বাড়ীর ভিতর থেকে প্রতিদিনই অপরিচিত মুখ দেখা যায়। কেউ বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে কেউ বা আবার বের হয়ে বিভিন্ন দোকানে বসে চা -নাস্তা খেয়ে আবার বাসার ভিতরে চলে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে প্রায় সময় কালো গ্লাসের হাইস,নোয়া গাড়ী বাংলো বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। আবার দুই চার, দশ মিনিটের মধ্যেই দ্রুত বের হয়ে যায়।
শুক্রবার রাত নয়টার দিকেও একটি সাদা রংয়ের কালো গ্লাসযুক্ত হাইস মাইক্রোবাস বাংলো বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। ৫-৭ মিনিট পর আবার গাড়ীটি বের হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রতন নামের এক হত্যা মামলার আসামী আক্তার-সুমনের বাড়ী থেকে বের হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার মূহুর্তে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে রতন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে আক্তার -সুমন সহ তাদের বাড়ীতে এবং কারখানায় আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের বাধা প্রদান সহ টেনে হিচড়ে কারখানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং পুলিশ সদস্যদের কে লাঞ্চিত করে।
পরে সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে হত্যা মামলার আসামী রতন কে ছিনিয়ে নিয়ে সমর্থ হয় আক্তার -সুমন বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আক্তার চক্র এখানে থেকেই এমন কান্ড ঘটিয়েছে । আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই আসামীকে ফ্যাক্টরীর ভিতর থেকে আনা যায় নাই। তাকে ছেড়ে দিয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যদের সুস্থ্য অবস্থায় নিয়ে আমরা ফিরে এসেছি ।
তবে এই আসামীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে দৃঢ়তার সাথে বলেন ওসি শরিফুল ইসলাম ।









Discussion about this post