ব্যাপক বিতর্কের পর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আলোচিত সমালোচিত রশিদ ওরফে রশিদ মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
রশিদ মেম্বার গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদে এলাকাবাসীর মধ্যে উল্লাস দেখা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলা সহ চাঁদাবাজি, হত্যাসহ ১৬ টি রয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার ফৌজদারহাট বাইপাস মোড় এলাকায় র্যাব-১১ ও র্যাব-৭ যৌথ অভিযানে রশিদ মেম্বারকে আটক করা হয়। পরে তাকে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্র হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রশিদ মেম্বার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম রশিদ মেম্বার গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রশিদ মেম্বারকে র্যাব আটক করে আমাদের থানায় হস্তান্তর করে গেছে। রশিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। একটি মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর রশিদ একজন সাধারণ মেম্বার হয়ে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় দখলবাজি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, লুটপাট সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। অথচ হাসিনা সরকারের আমলে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর লোক পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। ঐ সময় সরকারি দলের নেতাদের সাথে আতাত করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এমনকি থানা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মাষ্টারকে পরাজিত করে মেম্বার নির্বাচিত হয়। সে বিএনপি নেতা হলে কিভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকে পরাজিত করে। এমনটাই প্রশ্ন জনগনের।
আর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শওকত আলী চেয়ারম্যান এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, সাইফউল্লাহ বাদলের মার্কেট দখল, সাইদুরের মাছের খামার, বক্তাবলী ফেরি ঘাট সহ পূর্ব গোপালনগর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে লুটপাট সহ গরু সহ নিয়ে যায়। অনেকের দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও বক্তাবলী ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি সহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সে যদি বিএনপিপন্থি লোক হতো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র হত্যা মামলায় কেন তাকে আসামী করা হবে। সে প্রকৃত ভাবে আরওয়ামীলীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত, যার কারনে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শেষ পর্যায়ে রশিদ মেম্বার ক্ষমতার দেখিয়ে তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে তার আপন মামা বাদল মিয়ার তেলের পাম্প দেখভাল করতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে রশিদের আপন মামা রশিদ মেম্বারকে উত্তম মাধ্যম দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বাদল মিয়া বাদী হয়ে রশিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। আর র্যাব’র হাতে রশিদ মেম্বার গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকায় স্বস্তি ফিরিয়ে আসে।









Discussion about this post