নারায়ণগঞ্জ শহরের মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা. উজ্জ্বল মিত্রের চিকিৎসায় ৪৪ দিন বয়সী এক নবজাতকের মৃত্যুতে তোপের মুখে পড়েছে চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ।
উজ্জ্বল মিত্রের দেওয়া চিকিৎসাপত্র (প্রেসক্রিপশন) মোতাবেক ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ তুলে তোলপাড়ের ঝড় উঠে ।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের লোকজন উজ্জ্বল মিত্রের চেম্বারে অবস্থান নিয়ে হট্টগোল করায় পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ।
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে সকাল দশটার দিকে মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উজ্জ্বল মিত্রের কাছে যান ৪৪ দিন বয়সী শিশু আয়মান এর মা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আরবি আমান রিয়া।
‘চিকিৎসক উজ্জ্বল মিত্র শিশুটি নিউমোনিয়া আক্রান্ত জানিয়ে একটি চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের পাশাপাশি একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন । ‘ইনজেকশনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পার্শ্ববর্তী ফার্মেসি থেকে কেনারও কথা বলেন ডা. উজ্জ্বল মিত্র। ইনজেকশন কিনে পাশের আরেকটি ক্লিনিকে সেটি দেওয়ার পর বাচ্চাকে বাসায় নিয়ে যাই। কিছুক্ষন পরই আমার বাচ্চার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সাইনবোর্ড এলাকার ‘বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালে’ নিয়ে গেলে সেখানের চিকিৎসক জানায়, আমার বাচ্চা মারা গেছে।’ এমন অভিযোগ করেন নিহত শিশুর মা আরবি আমান রিয়া।
‘উজ্জ্বল মিত্র শিশুটির শারীরিক অবস্থা সঠিকভাবে নিরীক্ষণ না করেই উচ্চমাত্রার কোনো ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যার প্রতিক্রিয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন বলেন’ এমন অভিযোগ নিহত শিশুটির পরিবারের সদস্যদের ।
আর ডা. উজ্জ্বল মিত্র বলেন, “সকালে ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে আসলে তার নিউমোনিয়ার লক্ষণ পাই। সে অনুযায়ী প্রেসক্রাইব করেছি। তারা দুপুর বারোটার দিকে কোনো এক ক্লিনিকে ইনজেকশনটি পুশ করিয়েছেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন ইনজেকশন তো আমি পুশ করি নি, কেবল লিখে দিয়েছি । ইনজেকশন পুশ করার সময় কী হয়েছে কিংবা তার পরে কী হয়েছে সে বিষয়ে তো আমি একেবারেই অজ্ঞাত। ডাক্তার হিসেবে কেবল আমি চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছি। আমি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের পরই চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দিয়েছি । এইখানে দায় থাকলে যে ক্লিনিকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, দায় তাদের।’
‘মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক শিশুর চিকিৎসা নিয়ে বিশৃঙ্খলা হয়েছে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। উভয়পক্ষের সাথে কথা বলেছি। পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এমনটি গণমাধমকে বলেছেন, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন ।









Discussion about this post