শহরের মিন্নত আলীর মাঝারের সামনে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২৪) হত্যার ঘটনায় একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অনিক নগরীর সুকুমপট্টি এলাকার নয়নের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকের অন্তত আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য প্রদান করে।
পুলিশ গ্রেফতারকৃত অনিকের কাছ থেকে নিহত সীমান্ত’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ছুরিও উদ্ধার করেছে বলে জানায় এসপি।
এসপি জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে এআইইউবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ওয়াজেদ সীমান্ত দেওভোগের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলে ভোর ৬টার দিকে বাড়ির পাশের ডিআইটি (আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের) মিন্নত আলী মাঝারের সামনে দুর্বৃত্তরা শিক্ষার্থী সীমান্ত কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মুঠোফোন ও এক হাজার ৮০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সীমান্ত কে লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মৃত্যুবরন করে।
নিহত সীমান্ত এর বাবা হাজী আলম চান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রোববার নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
সীমান্ত হত্যাকান্ড ছাড়াও নগরীতে অসংখ্য ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। ছিনতাই, ডাকাতিসহ অপরাধীদের দৌড়াত্ম মারাত্মক আকার ধারণ করেছে পুরো জেলায়। এমন অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সকালে শহরে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা।









Discussion about this post