শহরের মিন্নত আলী মাঝারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলম সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত অনিক ও আকাশ নামের দুই ছিনতাইকারী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এবং গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতের খাস কামড়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. কাইউম খান দুই ছিনতাইকারীর এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ছিনতাইকারী অনিক তার স্বীকারোক্তিতে বলেছে, ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে নগরের দেওভোগ মরগান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে (মিন্নত আলীর মাজার) ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল অনিক, আকাশসহ তিন জন। ভোরের এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার জন্য ঐ পথে যাচ্ছিল মী. ওয়াজেদ আলম সীমান্ত।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় অনিক আদালত কে আরও জানায়, শিক্ষার্থী সীমান্তকে দেখেই তারা তিন জন সীমান্তর ব্যাগ ও মোবাইল ফোনের জন্য রাস্তা আটকানোর পর সীমান্ত তাতে বাধা দিলে অনিকসহ ৩ ছিনতাইকারী তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে আহত করেই সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ছিনতাইকারী অনিকের মতোই জবানবন্দিতে একই ধরণের বক্তব্য দিয়েছে ছিনতাইকারী আকাশ।
চাঞ্চল্যকর এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জামাল উদ্দিন ঘটনার ৬ দিন পর গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ছিনতাইকারী অনিককে দেওভোগ থেকে এবং বুধবার গভীর রাতে পাশের এলাকা থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান।
জামাল উদ্দিন আরও জানান, ছিনতাইকারী অনিকের কাছ থেকে নিহত সীমান্তের কাছ থেকে লুন্ঠিত মুঠোফোনটি উদ্ধার এবং হত্যায় ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় আকাশ জড়িত থাকলেও তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার বা জব্দ করা যায় নাই। ঘটনায় জড়িত অপর ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর কম্পিউটার সায়েন্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পথে শহরের দেওভোগ এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়েই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। ছিনতাইকারীদের বাধা দেয়ার পর সীমান্তকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্ত মারা যায়।
একমাত্র পুত্র সীমান্তের মৃত্যুর পর বাবা হাজী আলম মামলা দায়ের করলে পুলিশ উল্লেখিত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।









Discussion about this post