জমি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান করে দেয়ার জন্য ঘুষ নিয়েও সমাধান না করে উল্টো বিপদে ফেলে প্রতিপক্ষদের কাছ থেকে ফায়দা হাসিলের অভিযোগে ফতুল্লা থানার দারোগা ইমানুর ওরফে গোপালগঞ্জের ইমানুরের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি), ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে ভূক্তভোগী ও হয়রানীর শিকার মাসুদ রানা।
এমন অভিযোগের পর নানাভাবে হুমকি ও ঘটনা ম্যানেজ করতে দেনদরবার চালাচ্ছে ইমানুর ও তার ঘনিষ্ট সহচরচক্র।
ঘটনার বিবরণে ভূক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় গোপালগঞ্জের দারোগা পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে তৎকালীন সময়ের এসপি ও ওসিকে তোয়াক্কা না করেই পুরো ফতুল্লায় রাম রাজত্ব চালাতো দারোগা ইমানুর। ওই সময় দারোগা (এস,আই) হিসাবে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় শিবু মার্কেট এলাকায় জমি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর শীতলক্ষ্যা হাউজিং এর বাসিন্দা হাসান মাসুদ রানা নামে এক ব্যাক্তির কাছে থেকে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে ইমানুর। হাসান মাসুদ রানা ছাড়াও অনেকের কাছ থেকে এমন নানান ঝামেলা তুড়ি মেড়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এবং গোপালগঞ্জের দাপট দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেন দারোগা ইমানুর। এমন অনেকের অর্থ আত্মসাৎ করে ২০২৩ সালে ফতুল্লা হতে অভিযোগের ভিত্তিতে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান এসআই ইমানুর।
অনেকের মতো হাসান মাসুদ রানার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যাবার পর এসআই ইমানুর মুঠোফোনে টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো হয়রানীর অপচেষ্টা করে। এমন ঘটনায় খোজ নিয়ে জানা যায় ফরিদপুরে চাকরী করছে ইমানুর।
পরবর্তীতে জানতে পেরে ফরিদপুরে চাকরীরত অবস্থায় ইমানুরের কাছে হাসান মাসুদ রানার পাওনা ৭০ হাজার টাকা ফেরৎ চাইলে ফরিদপুর থেকেই নানা প্রকার হুমকি প্রদান করেন ইমানুর।
এমন ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী হাসান মাসুদ রানা জানায়, আমার একটি জমি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আমার থেকে এস আই ইমানুর ৭০ হাজার টাকা নিয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যায়। উল্টো জমি সংক্রান্ত বিষয়ে যাদের সাথে আমার বিরোধ ছিলো তাদের সাথে যোগাযোগ করে আমাকে নানানভাবে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। একই সাথে আমার বিরোধীদের নিকট থেকেও নানাভাবে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং বিবাদীদের সেল্টার দেন। এতে আমি অর্থনৈতিক ক্ষতি, জমি সংক্রান্ত ক্ষতি, সম্মানহানীসহ অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হই।
দারোগা ইমানুর সম্প্রতি আবারো সেই ফতুল্লা থানায় বদলী হয়ে এসে সেই বিবাদীগনের সাথে যোগাযোগ করে আমার ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টার পাশাপাশি আমাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে একই সাথে উক্ত ৭০,০০০/-(সত্তর হাজার) টাকা ফেরত চাইলে আমাকে মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলেও জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাসান মাসুদ রানা নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার এবং ডিআইজি বরাবর গত ১৭ ডিসেম্বর ন্যায় বিচার চেয়ে উপরোক্ত টাকা উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করলেও এর কোনো প্রতিকার নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান হাসান মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে কথা বলতে এসআই ইমানুরের খোঁজ করে পাওয়া যায় নাই।
নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষ্যা হাউজিং এলাকার হযরত আলীর ছেলে হাসান মাসুদ রানার সেই ৭০ হাজার টাকা ফেরত ও দারোগা ইমানুরের হুমকি ও হয়রানীর বিচার দাবীতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মাসুদ রানা ।









Discussion about this post