নারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরে যাওয়ার সময় চর মুক্তারপুরের কাছে নদীতে মোড় ঘোরানোর সময় শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এমভি বি জামান-১ নামের জ্বালানীবাহী জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।
মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনা থেকে একটি জাহাজ ছিনতাই করে ৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল লুট হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা জাহাজের কর্মীরা বলছেন, ওঁৎ পেতে থাকা সশস্ত্র জলদস্যুরা ট্রলার নিয়ে এসেই জাহাজে উঠে পরে। মাস্টারসহ জাহাজে থাকা ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোনসহ সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে কালো কাপড় দিয়ে মুখে ঢেকে দিয়ে হুমকি দেয়। পরে তাদের ইঞ্জিন কক্ষে আটকে রেখে নিয়ন্ত্রণ নেয় জাহাজ টি ।
এরপরে জাহাজে থেকে থাকা ৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল লুট করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেঘনা সেতুর কাছে জাহাজটি ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
কিং ফিশার শিপিং জানায়, লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলের দাম ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফার্নেস অয়েল সামিট গ্রুপের।
কিং ফিশার শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার ফজল আহম্মেদ জানান, জাহাজের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তারা বিষয়টি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সহায়তা চান। পরে মোবাইল ট্র্যকিং করে মেঘনা সেতুর কাছে জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করে আইনপ্রয়োগকারী বাহিনী ।
পরবর্তীতে পুলিশ সন্ধ্যায় সেখানে গেলে জাহাজ রেখে দ্রুত ট্রলারে করে পালিয়ে যায় জলদস্যুরা ডাকাত চক্রের সদস্যরা। এমন ঘটনার পর জাহাজ কোম্পানির কর্মকর্তাসহ নৌ পুলিশ এবং বিআইডব্লিউটি‘র লোকজন জাহাজের ভিতরে থাকা বন্দি কর্মীদের উদ্ধার করে।
কিং ফিশার শিপিং কোম্পানির এমভি বি জামান-১ জাহাজের মাস্টার সাইজুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সামিট পাওয়ারের ডিপো থেকে ফার্নেস অয়েল গাজীপুরে সামিট পাওয়ারের কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে রওনা হন তিনি। প্রথমে মুখোশ পড়া ছয় জন ডাকাত জাহাজে ওঠে। তাদের কাছে বড়বড় রাম দাসহ নানারকম অস্ত্র ছিল। তাদের মুখে ডালিম নামটি শোনা যায়।
কিং ফিশার শিপিং কোম্পানির এমভি বি জামান-১ জাহাজ থেকে লুট করার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান ।
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান আরো বলেন, কোস্ট গার্ড জাহাজটি পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ফার্নেস অয়েল লুট করে কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, জাহাজ থেকে এমন কোটি কোটি টাকার মালামাল কৌশলে লুটের নাটক করে জাহাজে চাকরীরতরাই অনেক সময় ডাকাতির ঘটনা সজিয়ে। যা তদন্ত করা উচিত । তরে ব্লাক জনি, ডালিম, রমজান ওরফে চুক্কা রমজান বাহিনী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নৌ পতে অহরহ ডাকাতি করেই যাচ্ছে দেদারসে । যা যাচাই করা জরুরী । নইলে আরো ভয়াবহ অঘটন ঘটতেও পারে।









Discussion about this post