অনন্ত অ্যাপারেলসের শ্রমিকেরা জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাজ করার সময় লিজা আক্তার অসুস্থ হন। পরে তাঁকে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আনার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন লিজা আক্তার কে। লিজা আক্তারের মৃত্যুর জন্য চিকিৎসককে দায়ী করে কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালায় শ্রমিকরা। পরে কর্তৃপক্ষ দুপুরে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কারখানা থেকে সকলে সটকে পরে।
এ বিষয়ে আদমজীতে অবস্থিত শিল্প পুলিশ-৪–এর পরিদর্শক (গোয়েন্দা) সেলিম বাদশা বলেন, নারী শ্রমিক লিজা আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
অনন্ত অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, লিজা কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিলে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যুবরণ করে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হৃদ্রোগে লিজা আক্তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার সময় লিজা আক্তারের স্বজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গেছেন। সকালে লিজার মৃত্যুতে দোয়া করে কারখানার কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু কে বা কারা গুজব ছড়ালে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে।









Discussion about this post