উত্তরা ব্যাংক থেকে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব-১১।
আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার (স্কোয়াড্রন লীডার) ইশতিয়াক হোসাইনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর নয়াআটি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
ওই আটককৃত প্রতারক উত্তরা ব্যাংক লিঃ নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক কর্মকর্তা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ভবানীপুর এলাকার আব্দুল আওয়াল বেপারীর পুত্র মুক্তার হোসেন (৬০)।
প্রাথমিক তদন্তের বরাতে র্যাব জানায়, ‘উত্তরা ব্যাংকের আইন ও নিয়ম অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার সীমাতিরিক্ত টাকা নারায়ণগঞ্জ (প্রধান) শাখায় স্থানান্তরিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নিতাইগঞ্জ শাখা থেকে ২০১৩ সালের ২৭ মে থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পাঠানো নগদ রেমিট্যান্সের দেড় কোটি ও ৪০ লাখ এবং মুন্সিগঞ্জের রেকাবীবাজার শাখা থেকে ওই বছরের ২২ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পাঠানো রেমিট্যান্সের এক কোটি ১০ লাখ টাকাসহ সর্বমোট তিন কোটি টাকা স্থানান্তরিত হলে সাবেক উত্তরা ব্যাংক লিঃ, নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান ও সেকেন্ড অফিসার মুক্তার হোসেন।
ওই টাকা সংশ্লিষ্ট শাখার অফিসারের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে।
যার প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৬ মে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় উত্তরা ব্যাংক লিঃ, নারায়ণগঞ্জ শাখার মহাব্যবস্থাপক আঞ্চলিক প্রধান খায়রুল আলম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ২০১৬ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
গত ০২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ বিজ্ঞ ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম জিয়াউর রহমানের আদালতে মাদারীপুরের আউলিয়াপুরের সুফি আব্দুল কাদেরের পুত্র রোকনুজ্জামান ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল বেপারীর ছেলে মুক্তার হোসেনদ্বয়ের বিরুদ্ধে বাদীর কর্তৃক আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের দুইজনকে ০৫ (পাঁচ) বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের ও প্রত্যেককে দেড় কোটি টাকা অর্থদন্ডে যা তাদের ব্যক্তিগত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য করে রায় ঘোষনা করেন।
এছাড়া ওই শাখার সাবেক প্রধান ক্যাশিয়ার নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের আদেশ প্রদান করেন।
উক্ত রায় প্রদানকালে দুইজন আসামী পলাতক ছিল। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তিন কোটি টাকা আত্মসাতকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক মুক্তার হোসেন (৬০) কে সিদ্ধিরগঞ্জ মুক্তিনগর, নয়াআটি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
এ মামলার অপর আসামী রোকনুজ্জামানকে আটকের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পলাতক আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’









Discussion about this post