দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের এমপি ও পরবর্তীতে হুইপ থাকাকালে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন ও পাচারের অভিযোগ উঠে নজরুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রী ডাক্তার ইভার বিরুদ্ধে ।
জোড়ালো অভিযোগ থাকার পরও নজরুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রী ডাক্তার ইভাকে দুদকের পক্ষ থেকে ক্লিন ম্যান সার্টিফিকেট প্রদান করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে দুদক ও বাবু । এতো দিন পর এবার শাক দিয়ে মাছ ঢেকে একদিকে নিজেদের স্বচ্ছ প্রমানের অপচেষ্টা করছে অপরদিকে নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে সাবেক হুইপ বাবুর ক্যাশিয়ার লাক মিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নাটক মঞ্চায়ন করছে ।
এমন অভিযোগ খোদ লাক মিয়ার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের। নিশ্চিত করে সূত্র জানায়, লাক মিয়া ও পলাতক হুইপ বাবু খুব ভালো করেই দুদক কর্তাদের ম্যানেজ কি করে করতে হয় তা তারা খুব ভালো করেই জানেন।
সেই পুরানো নাটকের অংশ হিসেবে এবার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়াকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সোহানুর রহমান এ আবেদন করেন।
কারাগারে বন্দি লাক মিয়াকে গ্রেফতারের আবেদন করা হলেও লাক মিয়ার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকলে ওই বিষয়ে ম্যানেজ হয়েছে বলেও দুদকের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আড়াইহাজারে।
লাক মিয়ার ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ লেনদেন হয়েছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেনের (গালিব) আদালত আগামী ৯ এপ্রিল তার উপস্থিততে গ্রেফতার দেখানোর ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেন। এবং দখলে রেখে এবং লাক মিয়া ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। অপরাধলব্ধ ওই অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে দুদক।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, গত বছরের ২৭ আগস্ট আসামি মো. লাক মিয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এক মামলায় আটক আছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে লাক মিয়াকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো প্রয়োজন। অন্যথায় আসামি তার উল্লিখিত অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার সুযোগ পাবে।
৬ মার্চ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে আজ বৃহস্পতিবার লাক মিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলেও রহস্যজনক কারনে তার স্ত্রীর বিষয়ে কোন মতামত ব্যক্ত না করায় দুদকের কর্মকাণ্ড নিয়ে ফের সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র।









Discussion about this post