নারায়ণগঞ্জের অপরাধ সাম্রাজ্যের অপর নাম শামীম ওসমান । যত অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার নেপথ্যে ওসমান পরিবার ও তার চেলা চামচা। সেই শামীম ওসমানের অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর অপরাধ নিয়ন্ত্রক সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে গ্রেপ্তারের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসাদুজ্জামান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পলাতক ছিলেন। আমরা অভিযান চালিয়ে তাঁকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
অথচ সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের শেল্টারে এই আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা থাকার পরও আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যমনি হয়ে বৈঠক করে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলে । এরপরও বীরের বেশে আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ চেয়ারম্যান ঘুরে বেড়াতো সর্বত্র।
এমন বৈঠকের চিত্র নানাভাবে প্রচারের পর অনেকেই বলেন, ‘কি জবাব দেবেন আইনশৃংখলা বাহিনী ? সাধারণ পুলিশ সদস্য ছাড়াও জেলার শীর্ষ কর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করে তা আবার ছবি তৃুলে ফেসবুকে প্রচার করার দৃষ্টান্তও গড়েছেন কোন কোন অপরাধী। এই আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদের মতো অসংখ্য আসামী এই নগরীতে ঘুরে বেড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না আইনশৃংখলা বাহিনী।”
শামীম ওসমানের অপরাধ সাম্রাজ্যের এই ঘনিষ্ঠ সহচর আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদকে গ্রেফতারের খবরে নগরীর অনেকেই বলেন, ওসমান পরিবারের অপরাধ সাম্রাজ্যের এমন ঘনিষ্ঠ অসংখ্য সহচর ফতুল্লা থেকে নদী পাড়ি দিয়ে কেরানীগঞ্জে অবস্থান করে এখনো নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । এ ছাড়াও ওসমানীয় অপরাধ সাম্রাজ্যের অসংখ্য অপরাধী এই নগরীতেই গা ঢাকা দিয়ে অপরাধীর কুটকৌশল অব্যাহত রেখেছে। ওসমানীয় অপরাধের সকল চেলা চামুন্ডাদের আটক করার দাবীও করেছে অনেকেই।









Discussion about this post