নারায়ণগঞ্জে ও রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার জাল নোট এবং জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী পুলিশ জানিয়েছে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাজারে এ জাল নোট সরবরাহ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন।
জসীম উদ্দীন বলেন, ১৩ মার্চ কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার জাল নোট, আংশিক প্রিন্ট করা ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলছে, একটি এ ফোর সাইজের কাগজে চারটি এক হাজার টাকার নোট তৈরি করতো এই চক্র। আর নিজেরাই বাজারে সরবরাহ করতো। তারা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাল নোট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতো এই চক্র । আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরি করে সেগুলো সরবরাহ করার জন্য আটককৃতদের সংরক্ষণে রেখেছিলো।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ দুপুর সোয়া একটায় সোর্সের মাধ্যমে একজন জাল টাকার ব্যবসায়ী জাল নোটসহ মাদবর বাজার ঘাটের দিকে যাচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাদবর বাজারের বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থার সামনে বেড়িবাঁধে চেকপোস্ট পরিচালনা করে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের একটি টিম।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজীকে আটক করা হয়।
তাদের আটকের পর তল্লাশি করে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের মোট চার লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধারের পরে গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কদমতলীর গ্যাস লাইন নামক এলাকায় গ্রেফতারকৃত সুমনের ভাড়া বাসা থেকে আরো ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১৬ লাখ টাকার জাল নোট, এক পাশে প্রিন্ট করা ১০০০ টাকা মূল্যমানের ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট (আংশিক প্রিন্ট করা), তিনটি আঠার কৌটা, জাল নোট তৈরিতে ব্যবহৃত দুটি ফয়েল পেপার রোল, কালার প্রিন্টারের পাঁচটি কালির কৌটা, একটি রাবার কাটার, কাগজ ছিদ্র করার দুটি ভাইস ও জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত এক বস্তা সাদা কাগজ,একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কালার প্রিন্টার, জাল নোট তৈরির ১০টি ডাইস উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের তিনজনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আটককৃত সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজীর পুরানো রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, আটক প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার অপরাধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আমলায় রিমান্ডের আবেদনের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে এই চক্রের অন্যান্যদের কর্মকান্ডের তথ্য।









Discussion about this post