সোনারগাঁওয়ে কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে ধর্ষণের পর ছবি ও ভিডিও ধারণের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে অন্যদের তার শিকার বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে নজরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের শিকার একাধিক পরিবারের সদস্যরা বলেন, নজরুলের এ অপকর্মের কথা তার পরিবারের সবাই জানে। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পান ছোট বোন শামীমার নিকট থেকে, মামাতো ভাই স্থানীয় বিএনপি নেতা নোবেল, সোহেল ও ভাগিনা জয়ের সহযোগিতায়।
এমন কান্ডে নজরুলের বোন শামীমা বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মেয়েদের নেশা আছে। যা হয়েছে তা আমার ভাইদের (স্থানীয় বিএনপি নেতা নোবেল ও সোহেল) কে নিয়ে শালিসের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে সে আর এই কাজ করবে না বলে জানিয়েছে।
,অপর আরো এক কিশোরী মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলে নজরুলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দেয়ার পর স্থানীয় বিএনপির নেতা নোবেল ও সোহেল বিচার সালিশ করে সমাধান করে। মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর সে নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে আমার মেয়ের সংসার ভেঙে দিতে পায়তারা করছে এই নজরুল।’
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী খালার মাধ্যমে নজরুল ইসলাম তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়ি ফাঁকা থাকায় আমি বের হয়ে আসতে চাইলে আমার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। তারপর আমার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে এই ঘটনা কাউকে বললে আমার মাসহ আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে আমি ভয়ে কাউকে জানাই নাই। পরে নজরুল আমার স্কুলে (বৈদ্যেরবাজার পাইলট স্কুল) গিয়ে এই ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে তার সাথে যেতে বললে আমি রাজি না হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখালে আমাকে তার সাথে যেতে বাধ্য করে। সর্বশেষ ৩ এপ্রিল উনি আমাকে গ্রামের পাশের চকে নিয়ে পেয়ারা বাগানে ধর্ষণ করে।”
ভুক্তভোগী এই কিশোরী আরো জানান, ‘যে প্রতিবেশি খালা আমাকে ডেকে নেয় নজরুল তাকেও ধর্ষণ করেছিল। এই এলাকায় আরো ৬ জন মেয়েকে ধর্ষণ করার প্রমাণ আছে।’
স্থানীয় বিএনপি নেতারা ধর্ষণের বিচার করতে পারেন কিনা প্রশ্নের উত্তরে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মফিজুর রহমান বলেন, ‘কোনভাবেই ধর্ষণের বিচার স্থানীয় সালিশে করার সুযোগ নাই। ১২ এপ্রিল অভিযোগ পাওয়ার পর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করা ডিভাইসটি উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছি। এই ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। নজরুলকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’









Discussion about this post