নাসিক সাবেক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শেষে উপস্থাপনের পর ডাক্তার আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ কাইউম খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় ২ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আদালতে হাজির করা হলে নির্দেশে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। ২৫ মে আইভীর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে শুনানির মাধ্যমে আদালত তাকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ২৭ মে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জে আনেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হাসান।
এর আগে গত ৯ মে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটিরের নিজ বাসা থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নাসিকের সাবেক মেয়র ডাক্তার আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ৬ (ছয়) টি মামলা আছে। এর মধ্যে চার (৪) টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
নির্ভরশীল পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক মেয়র ডাক্তার আইভীকে পুলিশের পেশাদারিত্বের সাথে জিজ্ঞাসাবাদকালে উত্তর দিয়েছেন, “ এই নগরীতে আমার কোন শত্র নাই শুধু ওসমান পরিবার ছাড়া। আমি সকলের মেয়র ছিলাম। আমি কি করেছি তা এই নগরসবাসী ও সকল দলের নেতাকর্মীরা জানেন। এখনো ওই শামীম ওসমান নানা অপকর্ম করেই যাচ্ছে। যার বিরুদ্ধে আমি সব সময় লড়াই করে এসেছি। সেই গডফাদার শামীম ওসমানের টাকায় এখানে বিএনপির নেতাদের দুৃই একজন আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে । যার বিচার আল্লাহ ও আমার নগরবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম।”









Discussion about this post