বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জে সানজিদা আক্তার স্মৃতি নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী সিফাত ও তার পরিবার পালিয়ে যায়। নিহত স্মৃতি একই এলাকার লিটন মিয়ার মেয়ে।
ঘটনার পর স্বামী সিফাত বোরকা পরে পালিয়ে গেছে বলে জোড়ালো গুঞ্জন উঠেছে ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বাবা লিটন মিয়া জানান, দুইজনেরই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের অমতে দুই মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ে পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। বিকেল থেকে স্মৃতিকে কয়েকবার ফোন করলে রিসিভ না করায়। রাতে বাসায় এসে রুমে দরজা বন্ধ পাই। পরে জানালা দিয়ে তার মরদেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেই।
এলাকাবাসী জানান, গৃহবধূ সানজিদা আক্তার স্মৃতির সঙ্গে সিফাতের দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সঙ্গে গত তিন মাস আগে তারা একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে নানা কারণে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে তাদের একে অপরের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী সিফাত স্মৃতিকে ঘরের ভেতর হত্যা করে দরজা-জানালা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও স্মৃতির কোনো খোঁজ না পেয়ে তার চাচি বাড়িতে আসেন। দরজায় ভেতর থেকে বন্ধ দেখে তিনি আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। পরে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্মৃতির মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। সেই সাথে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
বন্দর থানার দারোগা সিরাজ জানান, নিহত গৃহবধূ সানজিদা আক্তার স্মৃতির মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।









Discussion about this post