পরিবেশবান্ধব, ঝুঁকিমুক্ত ও পরিবহণ ব্যয় সাশ্রয় করতে এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ মেট্রিক টন ডিজেল যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে।
গত ২২ জুন (রোববার) সন্ধ্যা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে পদ্মা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানির প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানো হয়েছে।
এমন কর্মযজ্ঞের উদ্বোধনের পর নদীপথে অয়েল ট্যাংকারের পরিবর্তে পাইপলাইনেই নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা ডিপোতে জ্বালানি তেল পাঠানো হবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশন্স) মণি লাল দাশ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, প্রথমে রোববার পতেঙ্গা গুপ্তখাল থেকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির দুই ট্যাংকের ১৮-২০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাইপলাইনে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে পাঠানো শুরু হয়েছিল। পরদিন সোমবার মেঘনা অয়েল কোম্পানির দুইটি ট্যাংকের ১৬-১৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানোর কাজ শুরু করা হয়। অপারেশনাল সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা, প্রকল্প হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এমন কর্মর্চীর মধ্য দিয়ে ।
মণি লাল দাশ বলেন, আমি (মঙ্গলবার) দুপুরে পতেঙ্গার পাম্প হাউস পরিদর্শন করেছি। সব কিছু স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিনে মনিটরিং করা হয়েছে। পাইপলাইনে তেল পাঠাতে কোনো জটিলতা হচ্ছে না।
মণি লাল দাশ আরও বলেন, পাইপ লাইনে ঘণ্টায় ৩২০ মেট্রিক টন জ্বালানি পাঠানোর সক্ষমতা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন পাঠানো হচ্ছে। পদ্মা এবং মেঘনার পর পাইপলাইনে বুধবার তেল যাবে যমুনার। তার পরদিন পাইপলাইনে তেল যাবে কুমিল্লার ডিপোতে। পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি পিএলসি (পিটিসিপিএলসি) এবং প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এই জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি তদারকি করছেন।









Discussion about this post