নবজাতকের লাশ নিয়ে থানায় অভিযোগ করে অবস্থানের পর দ্রুতই শুরু হয় মীনাংসার তৎপরতা। মায়ের কান্নায় বিচারের দাবী জোড়ালো হলেও প্রভাবশালীদের তৎপরতা ছিলো আরো অধিক। ফলে নায়ের কান্নাজনিত আবেদন পরাজিত হলো ক্লিনিক মালিকপক্ষ ও পুলিশের অপতৎপরতায় কারণে
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
অভিযোগ দায়েরের মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যেই ফতুল্লা থানায় টাইপকৃত অংগিকারনামায় স্বাক্ষর করে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে নবজাতকের পিতা মাসুম মিয়া ।
কি কারণে অভিযোগ আবার কি এমন ঘটলো যার কারণে অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন, কোন হুমকি অথবা টাকার বিনিময়ে এমন করেছেন কিনা এমন প্রশ্নে কোন উত্তর না দিয়ে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, “আমার কোন ভাষা নাই, এবার দাফন করতে চাই সন্তানকে ।”
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবারের এক সদস্য বলেন, ফতুল্লা থানা পুলিশ ই টাকার বিনিময়ে ঘটনা মীমাংসা করেছেন। কত টাকায় মীমাংসা হলো এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলে, থানায় জিডি করতে যেখানে টাকা ছাড়া কাজ হয় না, সেখানে লাশ নিয়ে থানায় অবস্থানের পর কি হয়েছে তা অনুমান করলেই বোঝা যায় কি হয়েছে ঘটনা ধামাচাপা দিতে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ফতুল্লার মোস্তাফিজ সেন্টারে অবস্থিত ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার ঘটেছে এক নবজাকতের মৃত্যু ।
স্বজনদের অভিযোগ, তাদের সাথে ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দুঃব্যবহার করে বের করে দিয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর জন্য ক্লিনিকের চিকিৎসকদের অবহেলাকেই দায়ি করছেন তারা।
ভুল চিকিৎসায় মৃত শিশুর নানী জানান, বুধবার বিকেল ৪টায় ফতুল্লার মোস্তাফিজ সেন্টারে অবিস্থত জেনারেল হাসপাতালে তার মেয়ে পিংকিংকে ভর্তি করানো হয়। একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এ ঘটনার পর থেকে নব যাতক শিশুর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি ঘটলে ক্লিনিকটির চিকিৎসকরা জোর করে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে রোগিকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ায় সম্ভব হয়নি।
রোববার ভোরে রোগির অভিভাবকরা প্রথমে শহরের ৩শ শয্যা হাসপাতালে পরে মাতুয়াইল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়ার পথে নব জাতকের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, এই ক্লিনিকে কিছুদিন আগেও রক্তের ভুল রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া প্রায় সময়ই এই ক্লিনিকে রোগিদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ক্লিনিকটি বহুতল বিশিষ্ট হলেও এই ভবনে









Discussion about this post