আইন আছে আইনের মতো ! অসাধু শিক্ষক শিক্ষিকারা চালাচ্ছে কোচিং ও ভর্তি বাণিজ্য । ডিসি ও এসপিসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা যখন রয়েছে হাতের মুঠোয় তখন আর এই অপরাধীদের ঠেকায় কে ? প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সুজিত কুমার বিশ্বাস, ফারুক আহেমেদ, শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, মাহবুবুর রহমান, মোরশেদ, শওকত আলী, হাবিব সহ আরো কয়েকজন শিক্ষক সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চুক্তি করে কোচিং ও ভর্তি বাণিজ্য শুরু করেছে । যার কোন খোজও রাখেন না জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা !
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
চুক্তি ভিত্তিক কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন অসাধু শিক্ষক। ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি করতে নারায়ণগঞ্জের হাজার হাজার অভিভাবকগণ মেধা তলিকার ভিত্তিতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার পর সরকারী এই বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ মিললেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারী চাকুরীজীবী শিক্ষক শিক্ষিকারা নানা অসাধু পথ অবলম্বন করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর জুড়ে।
এমন কোচিং বাণিজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শওকত আলী অকপটেই স্বীকার করেন তার স্ত্রী এই কোচিং বাণিজ্য করেন । একটি পত্রিকায় এ সংক্রন্ত সংবাদ প্রকাশের পর আগামীকাল ভিন্ন একটি পত্রিকার নাম উল্লেখ করে শওকত আলী আরো বলেন আমি প্রতিবাদ দিয়েছি কাল শুক্রবার ওই (…….) পত্রিকা দেইখেন।
অনুসন্ধ্যান চালিয়ে আরো জানা যায়, সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজিত কুমার বিশ্বস, শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, ফারুক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান, মোরশেদ আলীসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ বীরদর্পে কোন ধরণের ভ্রুক্ষেপ না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য । উল্লেখিত অসাধু শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে ভর্তির পর কয়েক দফা নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নারায়ণগঞ্জ সরকারী উচচ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক /শিক্ষিকা ও অভিভাবকেদের সাথে আলোচনা করলে তারা অকপটেই স্বীকার করেন কি ভাবে এই চিহ্নিত শিক্ষক নামের অপরাধীরা টাকার বিনিময়ে নৈতিকতা ঝেড়ে ফেলে অসাধু পন্থায় শিক্ষার নামে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে । কোন কোন শিক্ষক – শিক্ষিকারা তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যবহার করে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড বছরের পর বছর যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে ।
প্রকাশ্যেই ফান্ডামেন্টাল নামক কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক সুজিত কুমার বিশ্বাস ও শফিকুল ইসলাম ভূইয়া । শহরেরে আমলাপাড়া প্রেসিডেন্ট রোডে এই কোচিং সেন্টার পরিচালনা করলেও সুজিত ও শফিকুলের কোচিং সেন্টারে আজো কেউ অভিযান চালায় নাই । একই সাথে কোচিং করার পরও কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারলে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভর্তির চুক্তি করে এই সুজিত বিশ্বাস । এমন টাকার বিনিময়ে ভর্তির কয়েকটি রেকর্ড পাওয়া গেছে অভিভাবকদের কাছ থেকে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, সজিত খুব বড় গলায় ই বলেন সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ হলেও আমার ফান্ডামেন্টাল কোন দিনই বন্ধ হবে না । কারণ আমার হাতের মুঠোয় আছে ডিসি ও এসপির মতো বড় বড় কর্মকর্তারা ।
কোচিং সেন্টার পরিচালনার বিষয়ে শিক্ষক সুজিত কুমার বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে না চেয়েই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মনে করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, শুক্রবার বিকেলে ফান্ডামেন্টাল কোচিং সেন্টারের পাশে এসে ফোন দিলেই আমাকে পাবেন । ফান্ডামেন্টালের কোচিং আলাদা আর সিক্সের ভর্তির কোচিং আলাদা । ফান্ডামেন্টালের পাশেই আরেক ভবনে এই কোচিং চালানো হচ্ছে বলে জানান শিক্ষক সুজিত কুমার বিশ্বাস । একই সাথে সুজিত কুমার বিশ্বসের নানা প্রতারনার বিশাল ফিরিস্তিও পাওয়া গেছে নানা মাধ্যমে থেকে ।
( এমন কোচিং বাণিজ্যের আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে আগামীতে )









Discussion about this post