দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার নানা অনিয়মের অভিযোগ সব কর্মচারীকে বদলি করার খবরে ব্যাপক প্রভাব পরেছে নারায়ণগঞ্জ আদালতে । নারায়ণগঞ্জ আদালতের পেসকার, পিয়ন, ওমেদারসহ দূর্ণীতিবাজ বিশাল এই চক্রের হোতারা নানা আতংকে রয়েছে বলে এরই মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জ আদালতে । জেলা আদালতের একাধিক সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার সব কর্মচারীকে বদলি করার খবরে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জ আদালতের কর্মচারীদের মাঝে । কারণ নারায়ণগঞ্জ আদালতের পেসকার, পিয়ন এবং ওমেদারদের প্রায় ৫০ জন সারাদিন ব্যাপী আদালতে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে প্রতিনিয়তঃ । বিচারকদের নাম ব্যবহার করে পেসকার, পিয়ন এবং ওমেদারদের সকেলেই বিমাল অপরাধের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে নারায়ণগঞ্জ আদালতে……….
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
অনিয়মের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার সব কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান।
তবে কতজনকে বদলি করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও চলা অনিয়ম রোধ করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এক মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, হলফনামা (এফিডেভিট) শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও অনিয়ম রুখতে পারছি না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কী আর করব? এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসালাম, এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে।
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অনেকেই মামলার তালিকা ওপর নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছে।
নির্ধারিত মামলার শুনানি করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘একটি মামলা আজ (সোমবার) তিন নম্বর সিরিয়ালে (আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়) থাকার কথা। কিন্তু অদৃশ্যভাবে তা ৮৯ নম্বর সিরিয়ালে গেছে।’ কীভাবে গেলো, তা আপিল বিভাগের কাছে জানতে চান তিনি।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না।’
এরপর প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন। তবে মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। পরে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।









Discussion about this post