নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
এমন অভিযানের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার, নয়ামাটি ও চেম্বার রোড এলাকার অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দ্রুত অফিস কক্ষ, গদীঘর ও গোডাউন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যাদের সকলেই বছরের পর বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে শুল্কমুক্ত আমদানি করা সুতা, পলিথিনের দানাসহ গার্মেন্টস কাজে ব্যবহৃত পন্য আমদানি করে দেশীয় বাজারে অবাধে বিক্রি করে আংগুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন ।
ওমন অনেকেই পালিয়ে গেলেও আইয়ুব আলীর মালিকানাধীন জেমি এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকার শুল্কমুক্ত সুতা আটক করে ।
বন্ড সুবিধার শুল্কমুক্ত সুতা টানবাজার এলাকা আটক করলে মুহুর্তের মধ্যেই সকল অপরাধীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যায় । এরপর টানবাজার থেকে প্রায় (১০টন) ১কোটি টাকার সুতা আটক করেছে ঢাকা কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা।
যৌথভাবে সারাদেশের ন্যয় নারায়ণগঞ্জেও এই অভিযান পরিচালনা করে এই সুতো উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিল সিআইডির সদস্যরা।
কাস্টমস এন্ড বন্ডের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, টানবাজার এলাকায় অবৈধ বন্ড সুতা ও পলিথিনের দানা আমদানী ও খোলা বাজারে বিক্রির অপরাধের বিষয়ে তাদের কাছে জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে । এই অভিযোগের ভিত্তিতে তারা অভিযান পরিচালনা করে ১০ টন বন্ড সুতো উদ্ধার করেছে যার মূল্য ১ কোটি টাকা । এমন সুতা ছাড়াও নয়ামাটি ও দিগুবাবুর এলাকায় কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে । পলিথিনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে অভিযানের পরও এদের অনেকেই একই কায়দায় সুতা ও পলিথিনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । শহরের টানবাজারের প্রাইম ব্যাংকের তৃতীয় তলায় রতন বাবু, নয়ামাটির জেবিএল ইন্টারন্যাশনালের শ্যামা ভৌমিক ও বোস কেবিন এলাকায় ডিএম এন্টারপ্রাইজের নারায়ণসহ আরো কয়েকজন নারায়ণগঞ্জে বিশাল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে । যার অনেক তথ্যই রয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দাদের কাছে ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের এক সদস্য বলেন, শহরের টানবাজারের অসংখ্য বন্ডের সুবিধায় সুতা আমদানী করে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট । একই ভাবে টানবাজারের প্রাইম ব্যাকেংর তৃতীয় তলায় রতন বাবু ও নারায়ণ চক্র অসাধু পন্থায় ক্যাশ এলসি ব্যবসার পাশাপাশি গার্মেন্টস সুবিধা ব্যবহার করে পলিথিনের দানা এনে শহর ও শহরতলী অসংখ্য এলাকায় অবৈধ কারখানা তৈরী করে খোলা বাজারে পলিথিনের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে । সম্প্রতি বোস কেবিন সংলগ্ন ডিএম এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫/৬ লাখ টাাকর অবৈধ অলিথিন জব্দ করার পরও একই কায়দায় রতন বাবু ও নারায়ণচক্র তাদের অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়েই যাচ্ছে । শহরে এই চক্রের হোতাদের অসংখ্য গোপন গোডাউনে কোটি কোটি টাকার অবৈধ দানা ও তৈরী করা পলিথিনের মজুদ রয়েছে । আর এমন অপকর্ম করতে অসাধু সূতা ও পলিথিনের কারবারীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরাসরি নিয়মিত মানসায়ারা দিয়ে আসছে । যার কারণে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন অভিযান ই পরিচালিত তো হয় ই না বরং ঢাকা থেকে কোন টিম আসলে থানা পুলিশ ই ফোন করে এমন অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে পালানোর সুযোগ করে দেয় ।









Discussion about this post