নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জেলার নানা অপরাধ কার্যক্রমের অনেক তথ্য এখন প্রকাশ করছে ভূক্তভোগী অনেকেই । একই সাথে সরকারী কর্মকর্তাদের অনেকেই মুখ খুললেও নাম প্রকাশ করতে চাইছেন না । নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক কোন্দল ছাড়াও পেশাদারিত্ব আচরণ না করে রাব্বি মিয়া নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে গেছে দীর্ঘদিন। রাব্বি মিয়ার আমলাতান্ত্রিক আচরণ ছাড়াও নিজের ফায়দা হাসিলে কি কি করেছেন এমন অনেক ঘটনার তথ্যই বর্তমানে প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসক দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেকেই
এনএনইউ ডেক্স :
সোনারগাঁয়ে নদী দখলের ভয়বহতা দেখে নারায়ণগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়াকে দুষলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার৷ সূত্র: প্রথম আলো
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন তিনি৷ পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই নারায়ণগঞ্জের বর্তমান ডিসির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। ডিসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তোমার আগের জেলা প্রশাসক নদীকে ভালোবাসতে পারেনি। সে ভালোবেসেছিল টাকাকে। কোনো সভ্য জাতি এভাবে নদী দখল করতে পারে না।’
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদী ও আশপাশের শাখা নদী দখলের পেছনে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসনসহ সরকারি চার সংস্থাকে সরাসরি দায়ী করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বচক্ষে যা দেখলাম, তা খুবই ভয়ংকর। এ দুই উপজেলার মেঘনা নদী ও আশপাশের শাখা নদীগুলোর তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানা কর্তৃপক্ষ নদ-নদী দখলের উৎসবে মেতে উঠেছে। এ এলাকায় অনেকটা প্রতিযোগিতা করে নদ-নদী দখল চলছে।’
তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন শিল্পকারখানাকে জরিমানা করে। কিন্তু দায়ী কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয় না। তাদের জেলে যেতে হয় না। দখলবাজরা বর্তমানে এতই প্রভাবশালী যে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে জেলা প্রশাসকদের তারা নানাভাবে চাপ দেয়। যতই চাপ আসুক, অবশ্যই নদ-নদী দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের দায় এড়াতে পারবে না।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, দখলদাররা সবাই হৃদয়হীন লোক। এভাবে নদ-নদী দখল দেখে কান্না এসে পড়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সচিব আমিনুল ইসলাম, সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।









Discussion about this post