শহরের প্রাণ কেন্দ্র চাসাড়া চত্তরে কোন ঘটনা ঘটলেই প্রশাসনের সকল সংস্থা হুমড়ি খেয়ে পরে । আর সেই চাষাড়া চত্তরে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাব নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নাম ব্যবহার করে মোটা অংকের টাকায় জেলা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা মেলা চালানোর ব্যবস্থা করে যাচ্ছে । আর এই মেলা এতোদিন পরে এসে জেলা প্রশাসক জানতে পারলো তা অবৈধ ! সত্যি হাস্যকর নাকি এর নেপথ্যে অন্য কিছু আছে তা জানতে এবং অসাধুৃ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে কারা এই মেলার ভাগভাটোয়ারা নিয়েছে তাদের বিচার দাবী করেছে কয়েকজন দোকানী । নাম প্রকাশ না কারার অনুরোধ করে মেলার কয়েকজন দোকানী জানান, অবেধভাবে মেলা চালাতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ডিসি অফিসের একটি চক্র । তাদের ধরলেই বেড়িয়ে আসবে এই মেলার নেপথ্যের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য
এনএনইউ ডেক্স :
চাষাড়া চত্তরের জিয়া হল প্রাঙ্গনে শীত বস্ত্র হস্ত ও কুটির শিল্প মেলায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত । এ সময় অবৈধভাবে মেলা স্থাপনের জন্য মেলার সব দোকানিকে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে ১ দিনের সময় দেয়া হয়েছে ।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তারের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ার জিয়া হলে গত ২ মাস ধরে অবৈধভাবে মেলাটি চলছিল যা শুরু হয়েছিল গত ১৫ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ ডিসেম্বর। ২ মাস পর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আজকের মধ্যে ব্যবসায়ীদের তাদের মালামাল সড়িয়ে নেওয়ার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে মেলা স্থাপনের জন্য মেলাটিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের মালামাল সড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য আজকের দিন ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা নিজেদের মালামাল সড়িয়ে না নেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালকে সকালের মধ্যে যাতে কোন প্যান্ডেল ও না থাকে। পুরো জায়গাটি ফাকা করার কথা তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাই ও জেলা পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
ভ্রাম্যমান আদালতের এমন আদেশের পর অনেক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেলো । আমরা তো আর জানতাম না এই মেলার কোন অনুমতি নেয়া হয় নাই । কারা কারা এই মেলার আয়োজন করেছে, ডিসি অফিসের কে কে এই মেলা থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে তার খোজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই তো বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল । আমরা সাধারণ ব্যবসায় আমাদের কি ক্ষমতা আছে এই জিয়া হলো দোকান বসানোর । আমরা তো টাকা হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাবো । তবে দেখতো চাই ডিসি অফিসের একজন কর্মকর্তা আর কয়েকজন কর্মচারী যারা এই মেলার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়েছেন তাদের বিচারটা কি করেন জেলা প্রশাসক ।









Discussion about this post