নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শহরের চাষাঢ়া থেকে একই পরিবারের পিতা মাতা ও দুই সন্তান টানা এক সপ্তাহ নিখোজ থাকার পর নিখোঁজ থাকা পিতা তোবারক ও দুই কন্যা ফারিয়া (৯) ও ফাহমিদা (৬) কে উদ্ধার করা হলেও এখানো নিখোঁজ রয়েছে তার স্ত্রী মুক্তা।
শুক্রবার সকালে মিরপুরের খালার বাড়ি থেকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
নিখোঁজদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মহল্লায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে স্বপরিবারে ভাড়া থাকতেন রেডিমেট গার্মেন্ট কাপড়ের ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন (৪৪)।
তিনি শহরের বঙ্গবন্ধু রোডস্থ লুৎফা টাওয়ার সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে অস্থায়ী দোকানে গার্মেন্টের তৈরী পোশাকের বেচাকেনা করতেন। ওই ফ্ল্যাটে তোবারক হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রী মুক্তা (৩০) ও দুই মেয়ে ফারিয়া (৯) ও ফাহমিদা (৬) থাকতো ।
বড় মেয়ে ফারিয়া চাষাঢ়া বন্ধু স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ও ফাহমিদা একই স্কুলের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। তোবারক হোসেন মিরপুর ব্লক বি গাবতলী ১ম কলোনী জব্বার হাউজিং বাড়িনং ১৭ সি/ডি এলাকার রেজাউল হকের পুত্র।
তোবারকের বাবা মা দুই জনই মারা গেছেন। তার এক খালা বর্তমানে মিরপুর সেকশন ৬ এর কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে সুমন সোহেলদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ব্যবসায়ী তোবারক, তার স্ত্রী মুক্তা ও দুই মেয়ে ফারিয়া ও ফাহমিদাকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে চাষাঢ়ার বাসা থেকে বের হন। তবে এক সপ্তাহেও তারা আর ওই বাড়িতে ফিরে আসেনি। তোবারক ও মুক্তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মুক্তার মা মেহের বেগম ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সদর মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, দুই মেয়েকে নিয়ে মিরপুরের খালার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন। সেখান থেকে সকালে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয় তিনজনকে। পরে দুই শিশুকে নন্দীপাড়া এলাকার নানীর হেফাজতে দেওয়া হয়। তবে স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, স্ত্রীর সন্ধানের জন্য তোবারক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য তাকে আটক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আরো তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।









Discussion about this post