সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টায় তিনি দেওভোগ চেয়ারম্যান বাড়ি (কৃষ্ণচূড়া মোড়) এলাকায় মারা যান গিটারিস্ট খাইরুল আলম হিরু (৩০)। জ্বর, ঠান্ডা, গলা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি ।
হিরুর মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন এবং এলাকার কেউ করোনা ভাইরাসের আতংকে লাশের নিকট দেখা যায় নাই । প্রায় ১০ ঘন্টা পর ৭ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকা থেকে পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের দাফন কমিটি লাশ নিয়ে যায়।
এমন ঘটনার পর পর আরেক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমজ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন । মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে লাশ পরে থাকলেও কেউই এগিয়ে আসছেন না করোনা ভাইরাসের ভয়ে ।
পরিবারের লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের মতো সময়ধরে করোনার উপসর্গ অর্থ্যাৎ জ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর।
শরীর অসুস্থ হওয়ার পর তাকে নারায়ণগঞ্জ ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হলে অবস্থার আরও বেশি অবনতি হয় এবং মঙ্গলবার তিনি মারা যান।
পরিবারের লোকদের দাবি, দীর্ঘসময় ধরে লাশ পরে থাকলেও দাফন-কাফনের জন্য কেউই এগিয়ে আসছেন না ।
এদিকে, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি অপারেশন তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানান, শ্বাসকষ্ট, হার্ট ও ডায়াবেটিক রোগী ছিলেন। কয়েক দিন আগে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আজ মৃত্যু বরণ করেছে। পরিবারে এক নারী ও দুই শিশু সদস্য ছাড়া আর কেউ নেই। এছাড়া নমুনা পরীক্ষা হয়নি। আমরা স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সন্ধ্যায় লাশ দাফন করা হচ্ছে ।









Discussion about this post