নারায়গঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ গত ৯ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত করা হয়। এরপর নিজ বাড়িতে আইসোলশনে থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০ এপ্রিল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আমি নিজ বাসায় আইসোলেশনে ছিলাম।
দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আজ নেগেটিভ আসে। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। সিভিল সার্জনের এমন ঘোষনার ১৯ দিনের মধ্যে আরো সুখবর পাওয়া গেছে । এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জে করোনা জয় করেছেন ১০৪ জন।
সিভিল সার্জনের পর এবার করোনা ভাইরাসকে জয় করেছেন খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সুপার ডা. গৌতম রায় এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসুম। তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চিকিৎসা সেবায় সুস্থতা লাভ করেন।
শনিবার (৯ মে) সকালের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসুমের তৃতীয় রিপোর্টটি নেগিটিভ আসায় তাকে করোনামুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে তার মা ও স্বামীর নমুনা রিপোর্টও নেগেটিভ আসে।
গেল ১৩ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাবুস। এরপর থেকে তিনি ডাক্তারের পরামশে খানপুর অফিসার্স কোয়ার্টারে নিজ বাসায় আইশোলেশনে ছিলেন। এসময় তার মা ও স্বামীও আক্রান্ত হন।
তানিয়া তাবাসসুম বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে চিকিৎসক, পরিবার ও প্রশাসনের কর্মকর্তা, সহকর্মীদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছি। বাসায় আইশোলেশনে থেকে গরম পানির ট্রিটমেন্ট, পরিষ্কার পরিছন্ন থেকে এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে সুস্থ হয়েছি ।
অন্যদিকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. গৌতম রায়ের সর্বশেষ ৮ মে নমুনা পরীক্ষা নেগেটিভ এসেছে। এর ফলে তিনি এখন করোনামুক্ত।
গৌতম রায় জানিয়েছেন, ১৪ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তিনি পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর ২৪ দিন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরে ২৯ এপ্রিল প্রথম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে আইসিডিআর এ নমুনা প্রেরণ করেন এবং ৪ মে দ্বিতীয় বার নমুনা প্রেরণ করলেও সে রিপোর্ট তিনি পাননি। পরে ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ল্যাবে তৃতীয় বারের মত নমুনা পরীক্ষা করালে সেটি নেগেটিভ আসে। তবে, আরও একটি নমুনা পরীক্ষা করানোর পর তিনি পুরোপুরি সুস্থ এটুকু নিশ্চিত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন সর্বমোট ১০৪ জন।
তাদের মধ্যে ৪২ জন বাড়িতে এবং বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
শনিবার (০৯ মে) সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা এক হাজার ২৪৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৩ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১০৪ জন
ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আক্রান্তদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি এবং তারা যেন সুস্থ হয়ে উঠেন সেজন্য তাদেরকে সব ধরনের সাপোর্ট দিচ্ছি। বর্তমানে যারা আক্রান্ত রয়েছেন তাদের মধ্যে গুরুতর কেউ নেই ।’








Discussion about this post