দীর্ঘদিন পর হলেও শাসক দলের নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি তার ফেসবুক পেইজে নারায়ণগঞ্জ শহরে স্থাপিত জেলার প্রধান দুটি সরকারি হাসপাতাল নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তা নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে ৷ শেখ সাফায়েত আলন সানির ফেসবুক পেইজে দেয়া পোস্টে ইতিমধ্যেই অসংখ্য শেয়ার, লাইক এবং কমেন্টে উঠে এসেছে জেলার হাসপাতাল দুটির বাস্তব চিত্র ৷ ফেসবুক ওয়ালের কমেন্টে অনেকেই ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার মন্তব্যকে স্যালুট জানিয়েছেন । অনেকেরই ব্যক্তিগত ভাবেও বলেছেন আসলে সাফায়েত আলম সানি প্রকৃত নেতার পরিচয় দিয়েছেন ।
সৎ সাহস থাকলেই হাসপাতালের দীর্ঘদিনের লুটপাট চক্রের বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলতে পারেন । নইলে সকল সরকারের শাসনামলেই হাসপাতালের লুটপাটকারী চক্র শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের মাসোহারা দিয়েই সরকারের কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে একেকজন আংগুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন ।
সানির এমন মন্তব্যের পর শাসক দলের নেতাদের ভয়ে প্রত্যাক্ষদর্শী জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, খানপুর হাসপাতালের একজন ঠিকাদার প্রতিমাসে ক্রসফায়ারে নিহত মমিন উল্লাহ ডেবিড কে ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে যেতো । ডেভিড ক্রসফায়ারে মারা যাবার পর শাসক দলের প্রভাবশালী নেতারা এই মাসোহারা নানাভাবে গ্রহণ করে যাচ্ছেন ঠিকাদার নামধারী লুটপাটকারীদের কাছ থেকে………….
ফেসবুকে শেখ সাফায়েত আলম সানির স্ট্যাটাস টি হুবহু তুলে ধরা হলো :
আল্লাহ্ যদি হায়াত দান করেন, বাংলাদেশ থেকে করোনা মুক্ত হওয়ার পরে স্লোগান সংগঠনের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ “খানপুর হাসপাতাল” ও নারায়ণগঞ্জ “ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে” সরকারি ভাবে ওষুধ পত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কি কি প্রেরণ করা হয়? এবং কোন কোন খাতে তারা এগুলো ব্যয় করেন? আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে এগুলো তদারকি করার দায়িত্ব চাইবো?
না এর জন্য আমাদের কোনো বেতন দিতে হবে না, হাসপাতালগুলোতে খাবার সাপ্লাই এর টেন্ডারও চাইবো না, বিভিন্ন মেডিকেল এক্সোসরিজ সাপ্লাই এর টেন্ডারও চাইবো না। আগেই বলে নিয়েছি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে, নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে কাজ করবো। কিন্তু এটার জবাব দিতে হবে কেন আধুনিক যন্ত্রপাতি গুলো নষ্ট করা হলো? কি পরিমাণ সরকারি ওষুধ এবং অন্যান্য সামগ্রী আসে, এবং কোথায় কোথায় তারা এটা খরচ করে?
ছোটবেলায় শুনেছি এবং দেখেছিও নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতাল, বাংলাদেশের মধ্যে অত্যাধুনিক কয়েকটা হাসপাতালের অন্যতম একটা হাসপাতাল ছিলো। তৎকালীন সাংসদ মরহুম আলহাজ্ব একেএম নাসিম ওসমান সাহবের সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে নারায়ণগঞ্জের এই সরকারি হাসপাতালটি তৈরি হয়। জাপানিরা এই হাসপাতালটি তৈরি করেন।
কিন্তু একি হায়!!! দিনের পর দিন আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্পন্ন হাসপাতালটা একটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেয়েও ভঙ্গুর অবস্থায় পরিণত হলো কেন? এখানে একটা ব্লাড টেস্ট পর্যন্ত করা যায় না কেন? এখানে দায়িত্বরত ডাক্তাররা একবারও কি এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন? নাকি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলো থেকে কমিশন খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন?
কাউকে হেয় করার জন্য বলছি না সময় হয়েছে একজন সুনাগরিক হিসেবে এগুলোকে তদারকি করে দেশের স্বার্থে কাজ করার। তাহলেই রাজনীতি সার্থক হবে বলে মনে করি।
#স্লোগান
#সোনার_বাংলা_গড়তে_হলে_সোনার_মানুষ_হই
শেখ সাফায়েত আলম সানি
সাবেক সভাপতি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ








Discussion about this post