কখনো পুলিশ, কখনো ডিবি পুলিশ, কখনো সিআইডি, কখনো সেনা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নানা প্রতারণার পর এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ওয়াসার সংযোগ দিয়ে নিজের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করেছেন প্রতারক রেজাউল করিম ও তার পরিবার ।
প্রতারণার খবর সংগ্রহ করতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথেও অশোভন আচরণ করেছে রেজাউল করিম ও তার ঘনিষ্ঠ লোকজন।
জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসার অনুমতি ছাড়াই নাসিক ১২ নং ওয়ার্ডে ওয়াসার পানির লাইন অবৈধভাবে সংযোগ দেয়ার চেষ্টা রেজা উল করীমের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে)দুপুর ২টায় এই ঘটনাটি ঘটে। এসময় এলাকাবাসী প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী রেজাউল করিমের কাছে সড়ক কেটে ওয়াসার পানির লাইন নেয়ার বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাম্বার ও মিলযুক্ত একটি কাগজের টোকেন দেখালে তাতে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরলে অবৈধ সংযোগে বাধা দেয় এলাকাবাসী।।
খবর পেয়ে গনমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এমন সংযোগের বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে রেজাউল করীম জানায়, ওয়াসার লাইন নেবার জন্য সিটি কর্পোরেশনে টাকা জমা আছে কিন্তু তা এখনো ব্যাংকে জমা নেই। আর তাছাড়াও ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ও নাসিক পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ এই বিষয়ে জানেন বলে জানান।
এরপর তিনি কাউন্সিলর ও পরিচ্ছন্ন কর্ম্মকর্তার নাম্বার লিখা একটি কাগজের টোকেন বের করে দেখায় কিন্তু সেখানে সিটি কর্পোরেশনের কোন অনুমোদন বা কোন স্বাক্ষর নেই।
অবৈধ্যভাবে ওয়াসার লাইনের জন্য মাটি কাটার বিষয়টি ওয়াসা অফিস জানে কিনা এমন প্রশ্নে ওয়াসার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, রেজা উল করিম ওয়াসার লাইন নেবার জন্য অফিসে টাকা জমা দিয়েছে কিন্তু তা এখনো ব্যাংকে জমা হয়নি।আর রাস্তা কেটে ওয়াসার লাইন সংযুক্ত করার বিষয়ে আর কোন তথ্য জানা নাই । তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এমন কাজ করতে চেয়েছে । তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায় হলেও এখনে নতুন বাড়ি করে এলাকাবাসীর সাথে প্রভাব বিস্তার করতো । এমন অবৈধ সংযোগ তার একটি প্রমাণ ।
এছাড়া ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এমন ঘটনা সম্পর্কে জানতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার ২১ মে দুপুরে স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুর নাম্বার নিয়ে এসেছিলেন । আমি নাম্বার লিখে দিয়েছি । পরে আমার নাম্বার চাইলে এই ছোট্ট কাগজে আমি নাম নাম্বার লিখে দিয়েছি । তিনি যে এই কাগজ দেখিয়ে এমন করবেন তা আমার জানা নাই ।









Discussion about this post