রূপগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর নুর বানু হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই(পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) নারায়ণগঞ্জ জেলা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সকাল ৮ টা হতে দুপুর ১ ঘটিকার মধ্যে রূপগঞ্জ থানার গন্ধর্বপুর সাকিনের মো. ইলিয়াস মিয়ার বাড়ীতে, অজ্ঞাত আসামীগন বাদী মো. ইলিয়াস মিয়ার মাতা নুর বানু (৫৫) কে করাত দিয়ে গলা কাটিয়া নির্মমভাবে হত্যা করে।
উক্ত ঘটনায় ওই বছরের ১ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।
যার মামলা নং- ০১, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
থানা পুলিশ তদন্তকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মাধ্যমে অত্র মামলাটির তদন্তভার পিবিআই এর উপর ন্যস্ত করিলে পিবিআই মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করে।
পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নাছির উদ্দিন সরকার কে তদন্তকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
পিবিআই তদন্তকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (পিপিএম) এর তদারকি ও দিক নির্দেশনায় গতানুগতিক তদন্তের পাশাপাশি বিজ্ঞান ভিত্তিক ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একজনকে ১১ মাস পর ২০২০ সালের ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম কামরুজ্জামান(৩৬)। তিনি রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুর এলাকার আলাউদ্দিনের পুত্র।
পিবিআই সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকা হতে কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ০২ (দুই) দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
২৫ জুলাই কামরুজ্জামান (৩৬) কে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউছার আলম এর আদালতে উপস্থাপন করিলে, সে প্রত্যক্ষভাবে নুর বানু (৫৫) নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে অপরাপর আরো ০২ (দুই) জন আসামী জাহাঙ্গীর (৫০) ও রুবেল হোসেন (৩০) দ্বয়ের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি প্রদান করে।
ইতিমধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রুবেল হোসেন (৩০) কে গ্রেপ্তারপূর্বক গত ২৫ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করিলে বিজ্ঞ আদালত ০২ (দুই) দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উক্ত আসামীকে পিবিআই হেফাজতে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, অপরাধ তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় পিবিআই এখন সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। উপরন্তু পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি ক্রাইমসিন ভ্যান যুক্ত হওয়ায় খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ সহ চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে নব দিগন্তের সূচনা করবে এবং পিবিআই এর সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।









Discussion about this post