ফতুল্লার ভূইগড় থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে অটোরিক্সা চালক হাফিজের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
নিহত হাফিজ (১৬) আড়াইহাজার থানার মধ্যের চরের মাজহারুল ইসলামের পুত্র ও ফতুল্লা থানার ভূইগড়স্থ মিন্টু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
রোববার (১৪ নভেম্বর) ভোর রাতে নিহতের লাশ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলকার একটি বিল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ জিসান (২০) একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জিসান ফতুল্লা থানার ভুইঘরের ফরহাদ মিয়ার পুত্র।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নিহত হাফিজের পিতা মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে হাফিজ ভূইগড়স্থ জামালের গ্যারেজ হইতে অটোরিক্সা নিয়ে বের হয় এরপর থেকে তার কোন খোঁজ মিলছিলোনা। রাতে তাকে ফোন করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, নিহত হাফিজের বাবার সাধারন ডায়েরীর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জিসানকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত জিসান স্বীকার করে যে অটোরিক্সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে হাফিজকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার জৈনসার গ্রামস্থ একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চারজন মিলে গলায় নাইলনের সুতা পেচিয়ে হত্যা করে বিলের কাদামাটির ভিতরে পুঁতে রেখে কচুরিপনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে অটোরিক্সা নিয়ে সটকে পরে। গ্রেফতারকৃতের দেখানো মতে রোববার ভোরে সিরাজদিখান থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।









Discussion about this post