নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, আপনারা প্রায়ই বর্জ্য নিষ্কাশনের সমস্যার কথা বলেন। আর কয়েকটা মাস সমস্যা হবে তারপর সব সমাধান হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ইউনিয়ণ পরিষদের ৭৫ একর জায়গা আমরা অধিগ্রহনে কাজ করছি। যার মূল্য প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা। সরকার আমাদের এ টাকা দিচ্ছে। টাকা আসলেই এ জমিগুলো অধিগ্রহন শুরু করে এর সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করা হবে।
এছাড়াও জাইকাসহ আরো কয়েকটি সংস্থার সাথে কথা বলেছি যাতে আমরা ময়লা থেকে তেল, বিদ্যুত, গ্যাস, সার উৎপাদন করতে পারি। আমরা কিন্তু জালকুড়ি ২৩ একর জমির উপর ৫শ’ কোটির টাকার এমনি একটি প্রকল্প নিয়েছি দেড় বছর আগে। সেটা তেমন আগায়নি কারন হচ্ছে মহামারি কোভিড-১৯। সাংবাদিক ভাইয়েরা গিয়ে দেখতে পারেন তারপরও অল্প অল্প করে কাজ এগোচ্ছে। আমি তো এখন কাজ এগুতে পারি না তেমন আপনারা ট্যাক্স দিচ্ছেন না। আপনারা বিদ্যুত বিল দেন, গ্যাস বিল দেন, ওয়াসার বিল দেন কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স চাইলে বলেন করোনার জন্য আয় ভালো না, সংসার চলে না কিভাবে কাজ করব আমি বলেন। দেখুন আপনাদের টাকা ও সরকার যে টাকা দেয় সেগুলি মিলিয়েই আমরা আমাদের কর্মচারীদের বেতন দেই। এরকম করবেন না, যথা সময়ে টেক্স দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। আপনাদের সাথে আমার অবৈধ এক টাকারও সম্পর্ক নেই।
সোমবার (১৪ জুন) বেলা ১২টার দিকে বন্দর উপজেলার লক্ষনখোলা এলাকায় খেলার মাঠের পার বাধাই করন ও সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আইভী এসব কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, এ অঞ্চলের মা-বোনদের নিয়ে আমরা কিন্তু একটি সিটি ডেভেলোপমেন্ট কমিটি (সিডিসি) তৈরি করেছি। এখানে আমাদের গরিব মা-বোনরা কিভাবে আয় রোজগার করতে পারবে, আপনাদের কি ধরনের ট্রেনিং দিলে আপনার সংসারটা ভালো থাকবে এই কাজটা আমরা করতে চাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি শিক্ষিত নারীরা শুধু চাকরী খুজবেন, এটা করেন না। আমরা এই এলাকার ১০০ জন নারীকে সেবায়ে প্রশিক্ষন দিচ্ছি। তারা শুধু প্রশিক্ষিত হবে না তাদেরকে একটি করে সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে।
আমাদের যে উদ্দেশ্য, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে উদ্দেশ্য সেটা হলো- নারীদের কিভাবে ভালো রাখা যায়। আমার কথা হলো প্রশিক্ষন নিয়ে আপনারা স্বাবলম্বি হন নিজে কাজ করেন। কারো কাছে হাত পাতার অভ্যাসটা বাদ দেন। এলাকায় আমি দেখলাম আপনারা নিজে রা কিছু করতে চান না। একটা দোকান করে দিয়েছি আমি চা কফির দোকান সেটা কেউ নেন নাই আমার সাথে যোগাযোগ করেন নাই। চাকরীর কথা ভুলে যান। নিজেরা উদ্যোক্তা হবেন, নিজেরা আয় করবেন। সিডিসি’র লিডার যারা আছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করে আপনারা কাজ করবেন।
আপনারা প্রত্যেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন দ্বারা উপকৃত হবেন। ইতিমধ্যেই এখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন অনেক গুলো পানির পাম্প ও পাবলিক টয়লেট করে দিয়েছে। এখানে মাঠ করা হচ্ছে, কিন্তু আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে এখানে যাতে মাদক বিক্রি না হয়। নতুন মাঠে যাতে মাদকের অভারন্যে যাতে পরিনত না হয়। সেক্ষেত্রে আমি বলব দায়িত্বটা নিতে হবে আপনাদের আগে। গ্রাম মহল্লার লোকজন, মুরুব্বিরা সবাই মিলে একটা প্রতিরক্ষা কমিটি করবেন। আপনারা যানেন আপনার গ্রাম মহল্লায় কারা মাদক খায়, বিক্রি করে তাদের নজরে রাখবেন। তারা যখন মাঠে এধরনের অপকর্ম করবেন সরাসরি একা বাধা না দিয়ে সমষ্ঠিগত ভাবে বাধা দিবেন। মাঠ থেকে সরিয়ে দিবেন।
এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ আরও অনেক নেতাকর্মী ও এলাকার সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।









Discussion about this post