মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে রঙ পাল্টিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা । এবার সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের বিশাল ফিরিস্তি তুলে ধরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পরেছেন তিনি । ১০ দিন পূর্বে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা যা বলেছিলেন তার উল্টো টি বললেন আজ মঙ্গলবার । যা অনেকেই হতবাক করেছে
শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারি আওয়ামী লীগ নেতারা কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাবি করেছিলেন সিটি মেয়র কোনো উন্নয়ন করেননি। দুর্নীতি লুটপাট ছাড়া কোনো কাজ হয়নি বলেও তারা দাবি করে বক্তব্য রেখেছিলেন।
তবে, মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একই ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা দাবি করেছেন, ‘মেয়রের সহযোগিতায় তিনি তার এই ওয়ার্ডে ১৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। তারপরও কিছু লোক চোখ থাকতে অন্ধ। দিনের বেলায়ও চোখে দেখে না’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, “অনেকে শুনেছি রাতকানা হয়। কিন্তু তারা যে দিনের বেলায়ও চোখে দেখে না। বলে, কাজ হয় নাই, কাজ হয় নাই, কি কাজ করেছি! আমরা নাকি দুর্নীতি করেছি ! দুর্নীতি করলে দেশে আইন আছে । প্রশাসন আছে। আপনারা ব্যবস্থা নেন।”
এদিকে রুহুল আমিন মোল্লার ওই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, তিনি তার বক্তব্যে ‘যাদের অন্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা আসলে কারা ? তিনি কী তবে সাংসদ অনুসারি আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, চন্দন শীল, খোকন সাহ, শাহ্ নিজামদের ওই বক্তব্যের উত্তর মেয়রের উপস্থিতিতে দিলেন ?
সূত্র বলছে, ১৮ সেপ্টেম্বর আট নম্বর ওয়ার্ডে যে কর্মী সভা হয়েছিলো, সে মঞ্চেও রুহুল আমিন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানেও তিনি ছিলেন। এদিন তিনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
তবে, রুহুল আমিন মোল্লার দ্বৈত নীতিতে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, যে মঞ্চে একের পর একজন এসে মেয়র আইভীর গিবত করে যাচ্ছিলো, সেখানে বসে বসে তিনি তা শুনে যাচ্ছিলেন। কোনো প্রতিবাদ করেননি। এশটিবারও বলেননি এখানে উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা যা বলছেন, তা ভুল, মিথ্যা। অথচ মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে রুহুল আমি খোদ নিজেই উন্নয়নের ফিরিসতি তুলে বক্তব্য রেখেছেন। শুধু বক্তব্য রেখেছেন তা নয়, রীতিমত তিনি ‘কাজ হয় নাই, দুর্নীতি হয়েছে’ যারা বলেন, তাদেরকে রাতকানা, চোখ থাকতে অন্ধও বলেছেন।
এমন রঙ পাল্টানোর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, আমাদের আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে কারণে ভয় হয় কখন কোন অঘটন ঘটে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের বিরোধী জোট যতটা না রাজনৈতিক দ্বন্ধ তৈরী করছে তার চাইতে বেশী কোন্দল দেখা দিয়েছে নারাযণগঞ্জ আওয়ামীলীগের দুই মেরুর নেতাকর্মীদের মাঝে । আর এই সুযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলরের কোন আওয়ামীলীগ বিএনপি নাই, তাদের সকল আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে গিরগিটির মতো মুহূর্তে মুহূর্তে রঙ পাল্টানো শুরু করেছে । দিনের বেলায় কেউ আইভী আবার রাতের আধারে কেউ মামীম শামীম বলে গলা ফাটিয়ে ফেলছে । অনেকেইেআরো বলেছেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা কি আইভী পন্থি নাকি শামীম ওসমান পন্থি নাকি গিরগিটি ? কি জবাব দেবেন রুহুল । নগরীতে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে চলা এমন ঘটনা দলের জন্য অত্যান্ত লজ্ঝাজনক ।









Discussion about this post