আওয়ামী লীগের স্টিকার লাগিয়ে গাড়িতে চড়ে বেড়ান জাতীয় পার্টির সভাপতি আঃ রউফ ! এমন ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোনারগাঁজুড়ে
সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির স্টিকার লাগিয়ে বছর যাবত নিজ গাড়িতে চড়ে বেড়ান উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আঃ রউফ।
শম্ভুপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে সম্প্রতি উপজেলা সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাথে জাতীয় পাটির সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তুমুল মতবিরোধ রয়েছে স্থাানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে। নেতাকর্মীদের এমন মতবিরোধ একেবারেই যে উড়িয়ে দেয়া যায়না তারই প্রমাণ মিলেছে আঃ রউফের গাড়িতে লাগানো আওয়ামী লীগের স্টিকারে।
গত বৃহস্পতিবার (৩১/১২/২০২০ ইং) দুপুরে নিজের ব্যবহৃত গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো- ১৩-০৬৬২) চড়ে সোনারগাঁ উপজেলা প্রসাশনের কার্যালয়ে যান শম্ভুপুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আঃ রউফ।
পরিষদ চত্বরে রাখা গাড়িতে দেখা যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির স্টিকার সাঁটানো রয়েছে সেই গাড়িতে। তবে স্টিকারটি লাগানো অবস্থায় তিনি যে দীর্ঘদিন যাবত গাড়ি ব্যবহার করছেন তা স্পষ্ট বোঝা যায়। স্টিকারে আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগানসহ লেখা রয়েছে “আহ্বায়ক কমিটি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ, নারায়ণগঞ্জ। নং-৪৭। স্থান জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধী। টুঙ্গী পাড়া, গোপালগঞ্জ”।
একটি সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেতাকর্মী নিয়ে শতাধিক গাড়িবহরে সেখানে যান। সে সময় জাতীয় পার্টির সভাপতির উক্ত গাড়িটি সেই বহরে অন্তঃর্ভূক্ত করে নেয় আঃ লীগের আহ্বায়ক কমিটি। যার সিরিয়াল নং পড়েছিল ৪৭। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার পর গাড়ি থেকে স্টিকার না খুলে প্রায় বছর খানেক যাবত ব্যবহার করছেন জাতীয় পার্টির সভাপতি আঃ রউফ।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থাানীয় কয়েকজন আওয়ামী সমর্থক জানান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাথে আঃ লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যে গোপন আতাত রয়েছে তা এই স্টিকার সাঁটানো গাড়িটিই প্রত্যক্ষ প্রমাণ বহন করে।
এই বিষয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আঃ রউফ মোবাইল ফোনে ইতঃস্ততাবোধ করে তা অস্বীকার করে বলেন, না না আমার গাড়িতে এসব নাই। গাড়িতে সাঁটানো দেখা স্টিকারের কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে বহরে নেয়া গাড়ির ব্যবস্থাাপক ও উপজেলা আঃ লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি ।
এমন ঘটনায় সোনারগাঁ উপজেলার কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী বলেন, সোনারগাঁওয়ে কি না ঘটে ! আশ্চর্যজনক অনেক ঘটনার মধ্যে আওয়ামী লীগ স্টিকারে জাতীয় পার্টি নেতার এমন চলাফেরা সকলেরই চোখে পরলেও তাতীয় পার্টির নেতার চোখে পরে না না কেন তা নিয়ে সকলের মধ্যে হাসির পাত্র হয়েছেন ।









Discussion about this post