ব্যবসাসমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের নেই কোন কোলাহল । ছোট্ট এই জেলায় প্রতিটি এলাকয় ব্যবসায়ীদের চৈত্র সংক্রান্তির বিশাল আয়োজন দেখা যায় নাই কোথাও । নেই পরিচ্ছনতার দৌড়ঝাপ । বাজনা বাজে নাই কোথাও । ঢাকের বাদ্য শোনা যায় নাই । শিব গৌরীর নৃত্য দেখা যায় নাই নারায়ণগঞ্জে । সর্বত্রই যেন সুনসান নীরবতা
‘জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি’—এই প্রত্যাশার ভেতর আজ রাত পোহালেই কাল নতুন দিন। লকডাউন-ঘরবন্দি বাংলার পূর্ব দিগন্ত উদ্ভাসিত করে ভোরের নরম আলো রাঙিয়ে দেবে চরাচর, স্বপ্ন, প্রত্যাশা। করোনা ভাইরাসের ভয়াল আতঙ্কের মধ্যে সূচিত হবে নববর্ষ। হিন্দুদের চৈত্রসংক্রান্তি আজ।
আচার অনুযায়ী এ দিনে বিদায় উৎসব পালন করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। দোকানপাট ধুয়েমুছে বিগত বছরের যত সব জঞ্জাল, অশুচিতাকে দূর করতে চায়। কারণ রাত পেরোলেই খোলা হয় ব্যাবসায়িক হিসাব নিকাশের নতুন খাতা। সে উৎসবের চিরচেনা নাম ‘হালখাতা’। তবে করোনার কারণে সব হালখাতা সব আয়োজন স্থবির, বন্ধ। বৈশাখকে বরণ করতে এ বছর আর কোনো আয়োজন চলছে না। বাংলা নববর্ষকে বরণের জন্য নারায়ণগঞ্জ চারুকলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের ‘এসো হে বৈশাখ’ অনুষ্ঠান হবে না। চারুকলা থেকে বের হবে না কোন মঙ্গল শোভাযাত্রা অথবা কোন অনুষ্ঠান। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর ১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঙ্গালী জাতির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এবার সেই বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে না।
সেই সাথে হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি , উকিলপাড়া, টানবাজার, কালীর বাজারের হাজারো ব্যবসাযীদের চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজন। ব্যবসায়ীদের অনেকেই নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উঁকি দিলেও চিরাচরিত এই প্রথা পালন করতে না পারায় অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন । আবার অনেকেই বলেছেন, “ আগে এই মহা দূর্যোগ থেকে সকলকে যেন রক্ষা পান সেই প্রার্থনাই করি ।”









Discussion about this post