এক সময়ের নারায়ণগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চলের অজোপাড়াগাঁ কাঞ্চন এলাকা ছিলো একেবারেই শান্ত ও শান্তির জনপথ । কালের বিবর্তনে সেই কাঞ্চনের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি বর্তমানে সবচাইতে আতংকের জনপথে পরিণত হয়েছে এই কাঞ্চন ।
সেই কাঞ্চন এলাকার বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলামরের পরিবার নিয়ে রয়েছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাদেরকে এলাকার লোকজন রিফিউজি রফিক বলেই ডাকেন। মাথা গোজার ঠাঁই না থাকায় রফিকের পিতা উত্তরবঙ্গ থেকে কাঞ্চনে এসে চাকরী নেন একটি জুট মিলে । আর থাকার কোন জায়গা না থাকায় সরকারী জমিতে পাটের খড়ি দিয়ে ঘর তুলে ছোট ছোট কয়েকজন সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেন এলাকার লোকজনের সাহায্য সহযোগিতায় । একেবারেই নিঃস্ব থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক এই পরিবার টি কে এলাকার লোকজন ভালোবেসে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধির আসনে অধিষ্ঠিত করার পর এখন অর্থ বিত্তের লোভে প্রতিনিয়তঃ আতংক সৃষ্টি করে পুরো এলাকবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে রফিক-মোগল পরিবার । সমানতালে অপর পক্ষও থেমে নেই রফিক – মোঘল বাহিনীদের প্রতিহত করতে ।
প্রতিনিয়তঃ এমন দ্বন্ধের জের ধরে বৃহস্পতিবার হামলা পাল্টা হামলার পর কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও শুক্রবার সকালে থেকে কাঞ্চন বাজারে ছুটির দিনে হাজার হাজার এলাকাবাসীর উপস্থিতি ঘটলেও সকলের চোখেমেুখে ছিলো আতংকের ছাপ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত আট জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১০ হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজনৈতিক ও স্থানীয় বিভিন্ন কাজের আধিপত্য নিয়ে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিকসহ তার সমর্থকদের সঙ্গে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলিসহ তার সমর্থকদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ, হামলা-মামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঞ্চন বাজার এলাকায় কলি বাহিনীর সদস্য আনোয়ার, খায়ের, টুটুল, লোহা শাহিন, মামুন, আব্দুল রাজ্জাক, শান্ত, আলামিন, রিফাত, উজ্জল, আমিন, ইকবাল, মনজু, রোবের, মতিউর, মাসুমসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনের একদল দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে কলি বাহিনীর সদস্যরা কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় কাঞ্চন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, আল-আমিন, আরিফ, হারেজ, রওশন আলী, সোহেলসহ অন্তত আটজন আহত হন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আল-আমিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায় ও পরিকল্পিতভাবে কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার নিরীহ লোকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি পৌরসভা এলাকায় কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা চাই না। আমার পৌরবাসী যেভাবে শান্তিতে থাকতে চায়, আমি সেভাবেই চালিয়ে আসছি।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি বলেন, আমার গাড়ির চালককে মারধর করার পর তর্কবিতর্ক ও বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।









Discussion about this post