করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ( কোভিড ডেডিকেটট হাসপাতাল) সাধারণ চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে আবারও শুধু মাত্র কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়া হবে।
২৯ মার্চ সোমবার সকালে শহরের খানপুর এলাকায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসারের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কিছু জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) পরীক্ষায় তুলনামূলকভাবে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
যেহেতু এ হাসপাতালটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেট হাসপাতাল সেহেতু কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। বিগত কিছুদিন আগে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার কমে যাওয়ার ফলে হাসপাতালটিতে কোভিড-১৯ রোগীদের পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে যে হারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে কোভিড-ননকোভিড এক সঙ্গে চিকিৎসাসেবা প্রদানে ঝুকি রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতাল সংস্কারের কারনে শয্যা সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারনে নন-কোভিড রোগী ভর্তি রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের মতো এ হাসপাতালে শুধুমাত্র কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।’
তিনি আরো জানান, ‘প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নমুনা পরীক্ষার জন্য আগে নাম নিবন্ধন করতে হবে। ১ দিন পর মেসেজ দিয়ে রিপোর্ট প্রদান করা হবে। নাম নিবন্ধনের জন্য যোগাযোগ করুন সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ০১৮৫৪ ৪৫৩৭২৩, দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ০১৯৭২ ১৬৪৮৩৫ এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ০১৫৭১ ৭১৫১৬৯ মোবাইল নাম্বারে। এছাড়াও করোনা চিকিৎসা সম্পর্কিত ২৪ ঘণ্টা জরুরী প্রয়োজনে ০১৯০৯ ৪০৩০৫৮ মোবাইলে নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।’
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে করোনা চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল ৪০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ১২ এপ্রিল সীমিত পরিসরে চালু করা হয় হাসপাতালটির ফ্লু-কর্ণার। যেখানে করোনা উপসর্গ আছে এমন রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গত ১৩ এপ্রিল থেকে হাসপাতালটিতে শুরু হয় করোনা রোগী ভর্তি কার্যক্রম। ৬ মে হাসপাতলটিতে করোনা পরীক্ষায় পিসিআর ল্যাব চালু করা হয়। এর প্রায় কয়েকমাস পর ২ জুলাই শুরু হয় হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট। আর চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি এবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে (কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতাল) র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের শুরুতে হাসপাতালটিতে কোভিডের পাশাপাশি সাধারণ চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়।









Discussion about this post