নামের পাশে বিশাল ডিগ্রি জুড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো জহিরুল । নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চালিয়ে আসছিলো অপকর্ম। শেষ পর্যন্ত ধরা পরতে হলো দুঃসাহিক প্রতারক জহিরুলকে । একের পর এক অভিযানের পর কয়েকজন এমন প্রতারক গ্রেফতারের পরও এমন প্রতারণা ছাড়তে পারে নাই এই প্রতারক । নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চালিয়ে আসছিলো বিশাল চিকিৎসা বাণিজ্য
এনএনইউ রিপোর্ট :
সাম্প্রতিক সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারাগাঁয়ে র্যাব এর ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বেশ কয়েকজন ভুয়া ডাক্তার আটক করে র্যাব । কাঠের ব্যবসা কিংবা পানি সাপ্লইয়ের কাজে নিয়োজিত থাকলেও পরে এমবিবিএস ডাক্তার সেজে রোগী দেখেছেন । এইচএসসি পাশ করে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন রোগী দেখছিলেন । এমন অসংখ্য ঘটনার পর সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আরও এক ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র্যাব-১১ ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে চিটাগাং রোড এলাকার চান সুপার মার্কেটের কুমিল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটক ভূয়া ডাক্তার মো. জহিরুল ইসলাম কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বেজোড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
তার কাছ থেকে ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন এন্ড গাইনী), সিএমইউ (ডিইউ), ডিএমইউ (ডিইউ), (সনোলজিস্ট) মেডিসিন, মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক নামীয় ৪ জন রোগীর ৪টি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ও ১টি রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), ১টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ১টি প্রিন্টার, রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ ১টি, ১টি ভূয়া অটোসীল, ১টি স্ফেগমোম্যানোমিটার জব্দ করেছে র্যাব।
র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব স্বক্ষরিত এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, আটকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি স্থানীয় স্কুল হতে ১৯৯০ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৩ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে ২য় বিভাগ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। মূলত তিনি মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৩ সালে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নকল ভারতীয় এমবিবিএস/এএম সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিয়মিত রোগী দেখে আসছিলেন।
তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরও জানান, আটক রফিকুল ইসলাম এসএসসি পাস হলেও তিনি নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও (সনোলজিস্ট) মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন ‘কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স (সিডি কমপ্লেক্স)’ এ রোগীদের প্রেসক্রিপশন ও আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মনগরা রিপোর্ট তেরী করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।









Discussion about this post